রেফারি হেনস্থার পর মার্চিং অর্ডার পেয়ে যখন আট ম্যাচ নির্বাসিত আটলেটিকো মাদ্রিদ কোচ দিয়েগো সিমিওনে, যাঁর ক্লাবের সঙ্গে আবার জোট বেঁধেছে আইএসএলে কলকাতার টিম, তখন কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে রেফারির নির্দেশে মাঠ থেকে বহিষ্কৃত হয়েও নিয়মমাফিক পরের ম্যাচে সাসপেন্ড না থেকে দিব্যি রিজার্ভ বেঞ্চে বসে দল পরিচালনা করে চলেছেন দুই কোচ।
দুটো ঘটনাই কল্যাণী স্টেডিয়ামের। দুই কোচ ভবানীপুরের দেবজিৎ ঘোষ এবং বিএনআরের নভনীল বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’জনেই রেফারির নির্দেশে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন দু’টি ভিন্ন ম্যাচে। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, এ ক্ষেত্রে নিজের দলের পরের ম্যাচে বেঞ্চে বসার কথা নয় তাঁদের। কিন্তু দু’জনে পরের ম্যাচেই বেঞ্চে বসেছেন। কলকাতা রেফারি সংস্থা (সিআরএ) নিয়ম মেনে আইএফএ-তে রিপোর্টও পাঠিয়েছিল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই। কিন্তু এখনও দুই কোচের কাছে ম্যাচ সাসপেনশনের নির্দেশ যায়নি আইএফএ-র তরফে। প্রথম ঘটনা ১০ জুলাই ভবানীপুর-কালীঘাট এমএসের ম্যাচে। ভবানীপুর কোচ দেবজিতকে ৮৪ মিনিটে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ’-এর কারণে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন রেফারি। ১২ জুলাই আইএফএ-তে জমা পড়ে রেফারি রিপোর্ট। কিন্তু ভবানীপুরের পরের ম্যাচেই বেঞ্চে বসেন দেবজিৎ। ১৬ অগস্ট বিএনআর-এরিয়ান ম্যাচে ৪০ মিনিটে একই কারণে রেফারি মাঠ ছাড়তে বলেন নভনীলকে। তিনিও পরের ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে বেঞ্চে বসেছেন।
আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “১০ জুলাইয়ের ঘটনার ফাইল দেখে বলতে হবে কী হয়েছে। ১৬ অগস্টের ঘটনায় লিগের সাব কমিটির বৈঠক হয়েছে। আরও একটা বৈঠক হবে।” ভবানীপুর কোচ দেবজিৎ বলেন, “রেফারি আমাকে লাল কার্ড দেখাননি। বেরিয়ে যেতে বলেন। একটা চিঠি পেয়েছি। আমাদের ম্যানেজার মিটিংয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু আইএফএ আমাকে শো-কজ করেনি।” বিএনআর কোচ নভনীল আবার বললেন, “আইএফএ আমাকে কিছুই জানায়নি।” যা শুনে প্রাক্তন ফিফা রেফারি প্রদীপ নাগের ব্যাখ্যা, “এএফসি-র নিয়মে রেফারি ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ’-এর জন্য বেঞ্চে বসা কোচ এমনকী কর্তাকেও কার্ড না দেখিয়েও মাঠ থেকে বার করে দেওয়া যায়।” প্রশ্ন উঠছে রিপোর্ট পাঠানোর পরেও ওই দুই কোচ তাঁদের দলের পরের ম্যাচে বেঞ্চে বসলেন কী ভাবে? প্রাক্তন ফিফা রেফারি সাগর সেন বললেন, “ফিফার নিয়ম অনুযায়ী এই ধরনের ঘটনায় কোচ পরের ম্যাচে বেঞ্চে বসতেই পারেন না। এর পরে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে শাস্তি নিয়ে। তবে আইএফএ-র নিয়ম এ ক্ষেত্রে কী, তা আমার জানা নেই।”
আই লিগ এগারো দলে: বেঙ্গালুরু এফসি-র পর এ বার আই লিগে দ্বিতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টিম হিসেবে এল পুণের কল্যাণী গ্রুপের কর্পোরেট টিম। বেশ কিছু কর্পোরেট সংস্থা দরপত্র জমা দিয়েছিল। তবে পরিকাঠামোর দিক থেকে পুণের এই টিমের গ্রহণযোগ্যতা বেশি থাকায় ছাড়পত্র পেল তারা। ২০১৪-’১৫ আই লিগে পুণে থেকে দু’টি দল খেলবে। পুণে এফসি এবং নতুন এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। এ বার আই লিগে টিমের সংখ্যা হল এগারো। ফেডারেশন সচিব কুশল দাস বলেন, “বেঙ্গালুরু এফসি-র সাফল্য গত বছরই দেখেছি। কল্যাণী গ্রুপও সফল হবে বলে আশা করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy