Advertisement
০৭ মে ২০২৪

মাঠেও ভগ্নদশা বঙ্গ ক্রিকেটের

ইডেন-লজ্জায় যখন বঙ্গ ক্রিকেট প্রশাসন উত্তাল, তখন বাংলার রঞ্জি ট্রফি দলেরও ভরাডুবির ইঙ্গিত বেঙ্গালরুতে। বঙ্গ ক্রিকেটের দুঃসময়ের শেষ এখানেই নয়। অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটেও বাংলাকে তাদের ঘরের মাঠে এসে উড়িয়ে দিয়ে গেল ত্রিপুরা। যে দলের কোচ আবার বাংলারই এক প্রাক্তন ক্রিকেটার। বঙ্গ ক্রিকেট যেন এখন সব দিকেই আক্রান্ত। মাঠের বাইরে-ভিতর সর্বত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:১০
Share: Save:

ইডেন-লজ্জায় যখন বঙ্গ ক্রিকেট প্রশাসন উত্তাল, তখন বাংলার রঞ্জি ট্রফি দলেরও ভরাডুবির ইঙ্গিত বেঙ্গালরুতে। বঙ্গ ক্রিকেটের দুঃসময়ের শেষ এখানেই নয়। অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটেও বাংলাকে তাদের ঘরের মাঠে এসে উড়িয়ে দিয়ে গেল ত্রিপুরা। যে দলের কোচ আবার বাংলারই এক প্রাক্তন ক্রিকেটার। বঙ্গ ক্রিকেট যেন এখন সব দিকেই আক্রান্ত। মাঠের বাইরে-ভিতর সর্বত্র।

চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আগের দিন ব্যাটিং ব্যর্থতা ঢেকেছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা, সুদীপ চট্টোপাধ্যায়রা। কিন্তু শুক্রবার বোলিং ব্যর্থতা ঢাকার জন্য কাউকে পাওয়া গেল না। আগের দিন যে উইকেটে কর্নাটক বোলাররা বাংলার বেশিরভাগ পার্টনারশিপেরই দফা রফা করেছিলেন, এ দিন সেই উইকেটে হিমশিম খেলেন অশোক দিন্দা-প্রজ্ঞান ওঝারা।

প্রথম জনের সারা দিনে ১৫ ওভার বল করে ওভার প্রতি ৪.০৬ রান দিয়ে এক উইকেট। পরের জন ২৩ ওভারে গড়ে ৪.১৩ করে রান দিয়ে একের বেশি উইকেট পেলেন না। সারা দিনে ৮৪ ওভার বল করে তাঁদের শিকারসংখ্যা চার। বাংলার ৩১২-র জবাবে কর্নাটক আপাতত ৩২২-৪। একটি নির্ঘাত এলবিডব্লিউ দেননি আম্পায়ার, সন্ধ্যায় বাংলা শিবিরে ফোন করে এমন অভিযোগ শোনা গেল। গত দিন শ্রীবৎসের রান আউটের সিদ্ধান্তও ভুল ছিল বলে তাদের দাবি। বরং ১৭ গড়ে ২.৪১ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়ে মন্দের ভাল বল করলেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। বাংলার নির্বিষ বোলিং কর্নাটককে এনে দিল একটা সেঞ্চুরি ও দুটো হাফ সেঞ্চুরি। করুণ নায়ারের অপরাজিত ১১৯। সঙ্গে শ্রেয়াস গোপাল ৫৪-য় ক্রিজে। আর কেকেআর ক্রিকেটার মণীশ পান্ডে ৫৩।

শনিবার তৃতীয় দিন কর্নাটক বড় লিড নিয়ে শেষ দিন দান ছেড়ে দিলে যে বাংলা বিপদে পড়তে পারে, এই আশঙ্কা শিবিরের মধ্যেই রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল তারা নাকি এখন এক পয়েন্টের লক্ষ্যে লড়ছে।

দাদাদের চেয়েও খারাপ অবস্থা ভাইদের। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে এ দিন এক দিনের ম্যাচে ত্রিপুরার অনুর্ধ্ব-১৯ দলের ২২৩-এর জবাবে বাংলা ১৬৯ রানেই শেষ। বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার মলয় বন্দ্যোপাধ্যায় এই ত্রিপুরা দলটার কোচ। যিনি বলছেন, ‘‘আমি শুধু আমার কাজ করছি। একে আবার বদলা-টদলা বলে লিখবেন না যেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE