লর্ডস টেস্টে টিম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দু’টো দলকেই সতর্ক থাকতে হবে। পিচে ঘাস থাকতে পারে আর উইকেটটা খুব শক্ত হওয়ারই সম্ভাবনা। তাই দুই ক্যাপ্টেনকেই তাদের সেরা চার বোলার বাছতে হবে। স্পিনটা ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা ভালই সামলাতে পারে এটা মাথায় রেখে ইংল্যান্ডকে দেখতে হবে স্পিনার না অতিরিক্ত এক জন ব্যাটসম্যান কোন পথে হাঁটবে। আবার রবিচন্দ্রন অশ্বিন না রবীন্দ্র জাডেজা কাকে নামালে সুবিধে হবে সেটা বাছতে হবে ভারতকে।
ভারতের তরুণ ব্রিগেডকে সাফল্যের জন্য ক্ষুধার্ত দেখাচ্ছে। দুটো টিমই সমান শক্তিশালী। আমরা মাঠে কড়া লড়াই দেখার আশায় থাকি। তবে দেখতে হবে লড়াইটা যেন সীমা না ছাড়িয়ে যায়।
ট্রেন্টব্রিজে প্রথম টেস্ট ড্র হওয়ার কতগুলো কারণ রয়েছে। ইংল্যান্ড গত আট টেস্টে জয়ের মুখ দেখেনি। ভারতীয় দলেরও নিশ্চয়ই গত ইংল্যান্ড সফরের কথা মাথায় ছিল। তা ছাড়া নিষ্প্রাণ পিচ আর তপ্ত আবহাওয়াও দু’দলের সতর্ক ক্রিকেট খেলার পিছনে কাজ করেছে। কোনও দলই ঝুঁকি নিতে চায়নি। শেষ পার্টনারশিপ পর্যন্ত লড়াই চলেছে। স্টুয়ার্ট ব্রডের মতো ব্যাটসম্যান ন’নম্বরে নামাতে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং গভীরতা অনুমেয়। ও দিকে ভুবনেশ্বর কুমার আর মহম্মদ শামিও দারুণ ব্যাট করেছে। টেস্টে দু’দলেরই লোয়ার অর্ডারের এ রকম দাপট সহজে দেখা যায় না। বিশেষ করে ইংল্যান্ডে!
এ বার ভারতের অন্য ব্যাটসম্যানদের প্রসঙ্গে আসি। কেরিয়ারে প্রথম বিদেশের মাঠে টেস্ট সেঞ্চুরি করার পথে দুরন্ত ব্যাটিং করল মুরলী বিজয়। শট নেওয়ার বল বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনবদ্য ছিল। পূজারা বেশ গুছোনো প্লেয়ার। সিরিজে ওর ব্যাট থেকে আরও রান আসতে পারে। ক্যাপ্টেন ধোনিকে বরাবরের মতো আত্মবিশ্বাসী লাগল আর স্টুয়ার্ট বিনিকে তো টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের মতোই মনে হয়েছে। বিনির ফুল লেংথ বোলিংটাও আছে। যেটা লর্ডসে ভারতকে সুবিধে দিতে পারে।
তবে এটাও ঠিক ভারতীয় ব্যাটিংয়ে অনেকগুলো সহজ আউট দেখা গেল। যেগুলো উইকেট ছুড়ে দেওয়ার পর্যায় পড়ে। ধোনিকে সে দিকে নজর দিতে হবে। দু’ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি আর বল হাতে প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পরেও ভুবনেশ্বর কুমারের ম্যাচের সেরা না হওয়াটা দুর্ভাগ্যের। ইশান্তের সঙ্গে ভুবনেশ্বরও যে রকম আঁটোসাটো লেন্থে বোলিং করেছে তেমনই রিভার্স সুইংও পেয়েছে। শামিকে যেটা পেতে আরও খাটতে হবে। ইংল্যান্ড একটু হলেও এ দিক থেকে এগিয়ে। অ্যান্ডারসন আর ব্রড দু’জনেই পরিবেশ অনুকূল হলে রিভার্স সুইং করতে পারে।
ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে জো রুটের ব্যাটিং দারুণ লাগল। লর্ডসে ওর ডাবল সেঞ্চুরি আছে। তাই দ্বিতীয় টেস্টে নামার আগে মানসিক দিক থেকে দুরন্ত জায়গায় রয়েছে রুট। অ্যাসেজে ব্যর্থতার পর ইংল্যান্ডের রুটের মতো ‘টাফ’ ক্রিকেটারই চাই। ব্যাটিং অর্ডারে পাঁচে নামার জন্য ও আদর্শ। যাকে দলের দুশো রানে সাত উইকেট চলে যাওয়ার পরিস্থিতিতে নামানো যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy