সারদা কাণ্ডের জেরে আগামী মরসুমে বাজেট কমছে ইস্টবেঙ্গলের।
শুক্রবার ক্লাব তাঁবুতে কর্মসমিতির বৈঠকের পর যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তাতে মূল স্পনসরের সঙ্গে কো স্পনসর না পেলে বাজেট ছেঁটে ফেলা হবে। সভার পর লাল-হলুদ সচিব কল্যাণ মজুমদার জানিয়ে দেন, “ক্লাবে আর্থিক সঙ্কট প্রবল। এই মুহূর্তে কোনও কো-স্পনসর পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আগামী বছর বাজেট কমবে। তারকাখচিত দলের ব্যাপারে সদস্য সমর্থকরা মনে কোনও আশা রাখবেন না।”
কেন এই বাজেট কাটছাট? ক্লাব সূত্রে খবর, সারদা কাণ্ডের জেরে ক্লাবের মূল স্পনসরের থেকে প্রাপ্ত অর্থের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইডি বাজেয়াপ্ত করে দেওয়ায়, আর্থিক সঙ্কট রয়েছেই। তার উপর কলকাতা ময়দানে এই ডামাডোলের জেরে কোনও কো-স্পনসরও এগিয়ে আসেছে না। যা নিয়ে এ দিন কর্মসমিতির বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনা হয়। যেখানে হাজির ছিলেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট প্রণব দাশগুপ্তও। কারণ, কোনও কো-স্পনসর না পাওয়া গেলে আগামী মরসুমে মূল স্পনসরের অর্থেই টিম বানাতে হবে। সেখানের আবার এএফসি-র গাইডলাইন অনুযায়ী, ৭৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় হবে সিনিয়র টিমে। বাকি টাকা ব্যয় হবে ইউথ ডেভেলপমেন্টে।
এ দিন বৈঠকের পর কল্যাণবাবু বলেন, “ক্লাবের মূল স্পনসরের থেকে প্রাপ্ত অর্থের ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্ট ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে। সেই অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা রয়েছে। সমস্যা তো হবেই।” যা থেকে পরিষ্কার ওই টাকা আটকে থাকায় জেরে পরের বার সমস্যা হতে পারে ধরে নিয়েছেন কর্তারা। ইস্টবেঙ্গল সচিবের দাবি, “কো-স্পনসর হিসাবে সারদার থেকে প্রাপ্ত টাকার সমস্ত আয়ব্যয়ের হিসেব দাখিল করা হয়েছে। দেখা যাক কী হয়!”
ক্লাবের তরফে আগামী মরসুমে এই বাজেট কমানোর ইঙ্গিত মেলার পর ফুটবলারদের কী প্রতিক্রিয়া তা জানা যায়নি। এএফসি কাপে মালয়েশিয়ায় ম্যাচের পর এলকো সতৌরির টিম এখন গোয়ায় আই লিগে ডেম্পো ম্যাচের জন্য। রবিবার ডুডু-র্যান্টিদের প্রতিপক্ষ ডেম্পো।
পাশাপাশি, কলকাতা পুলিশ ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগে গোলজ প্রকল্পে অনূর্ধ্ব-১৮ বিভাগে এ বছরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy