এবি ডে’ভিলিয়ার্সকে বিস্ফোরক হতে দেননি। এ বার সামনে ক্রিস গেইলকে থামানোর চ্যালেঞ্জ। কিন্তু শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে দুই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানকেই ‘প্রায় অপ্রতিরোধ্য’ বলে দিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।
ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যানকে কী ভাবে থামাবেন প্রশ্নে ধোনি বলেছেন, “সত্যি কথা বলতে এ রকম ব্যাটসম্যানরা ছক্কা মারতে শুরু করলে কিছু করার থাকে না। ফিল্ডিংয়ে সেটা আটকানোর মতো সুযোগও নেই। শর্ট পিচ বল করে অনেক সময় অনেক ব্যাটসম্যানকে কাবু করা যায়। কিন্তু এরা যদি ফর্মে থাকে, তা হলে শর্ট পিচ বলেও কিছু হয় না।”
তাই টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেনের অস্ত্র বোলিংয়ে বৈচিত্র। “ব্যাটসম্যানকে ভেরিয়েশনে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আমার মনে হয় গেইল বা ডে’ভিলিয়ার্সের মতো ব্যাটসম্যানরা চালাতে শুরু করলে তখন এ ভাবে থামানোর উপায় খোঁজার সুযোগ থাকে বোলারের। তবে আগে থেকে কোনও পরিকল্পনা করা খুব কঠিন।” পাশাপাশি সামান্য সুযোগও কাজে লাগাতে হবে গেইলদের মতো ব্যাটসম্যানদের রুখতে বলে মনে করেন ধোনি। “বোলাররা যদি এই সময় ফিল্ডারদের সাহায্য পায়, ফিল্ডাররা যদি ৫০-৫০ সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারে, বোলারের উপর চাপটা কমে যায়। আমার মনে হয় একটা দল হিসেবে আক্রমণ করাই সবচেয়ে বড় কথা।”
কিন্তু প্রতিপক্ষ শিবিরে যতই গেইল নিয়ে আলোচনা হোক না কেন, একটা ব্যাপার কিন্তু এখনও স্পষ্ট হয়নি। গেইলের ফিটনেস ঠিক কী অবস্থায়। দু’দিন প্র্যাকটিসে তাঁকে নামতে না দেখে ক্যারিবিয়ান নায়কের ভক্তদের অনেকেই আশঙ্কায়, পিঠের ব্যাথাটা বেশি ভোগাচ্ছে না তো? ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার ডারেন স্যামি যদিও বলে দিলেন, “আমি যতদূর জানি দলের সবাই ফিট। আর ক্রিসের পিঠের ব্যথা নিয়ে এটুকু বলতে পারি গত তিন বছর ধরে অবস্থাটা একই রকম রয়েছে। আর তার পরও ও মাঠে নামছে আর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিতিয়ে যাচ্ছে।”
এ দিকে, জোর ফিসফাস চলছে গেইল আর কিংবদন্তি ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার ক্লাইভ লয়েডের মঙ্গলবারের আলোচনা নিয়ে। মারডক ওভালে যে আলোচনা বেশ কিছুক্ষণ চলে। কিন্তু এটা স্পষ্ট নয় তাঁদের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গেইলের ব্যাটিং না দলের পারফরম্যান্স।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy