অ্যাডিলেডে গত এক সপ্তাহে উইকেট নিয়ে যা কারিকুরি চলছে, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট-ঐতিহ্যের প্রতীক এই মাঠের গোটা ইতিহাসে তা হয়েছে কি না, সন্দেহ। প্রায় একশো চল্লিশ বছরের সনাতনী প্রথা ভেঙে এই অ্যাডিলেডে হতে চলেছে প্রথম দিন-রাতের সরকারি টেস্ট। ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু যে টেস্টে ফ্লাডলাইটের আলোয় মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। আর যে টেস্টের প্রাক্লগ্নে নজিরবিহীন ভাবে মাঠকর্মীরা অবাধ স্বাধীনতা উপভোগ করছেন।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, অ্যাডিলেডের কিউরেটর ডেমিয়ান হফ, ব্রডকাস্টার সংস্থা, বল প্রস্তুতকারক, ক্রিকেটার— কে নেই পিচ তৈরির এই মহাযজ্ঞে! লাল বল যতক্ষণ টেকে, দিন-রাতের টেস্টে ব্যবহার হতে চলা গোলাপি বল ততক্ষণ টিকবে না। সুতরাং সর্বসম্মত ভাবে বাড়তি ঘাসের এমন একটা পিচ তৈরি হয়েছে, যা অ্যাডিলেডে বিরল। এতে বোলাররা বেশি মুভমেন্ট পাবেন আর বলের আয়ুও বাড়বে। ড্রপ-ইন পিচের উপর কয়েক মিলিমিটার ঘাস বাড়তি রাখা হয়েছে।
তবে একটা ব্যাপার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেরি প্যাকারের আমলে দিন-রাতের সুপার টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা থাকা গ্রেগ চ্যাপেল বলেছেন, ‘‘যতই প্রযুক্তিগত উন্নতি হোক না কেন, একটা জিনিস কিন্তু বদলাচ্ছে না। গোধুলি। সন্ধ্যা নামার মুখে এবং ফ্লাডলাইট জ্বলে ওঠার আগে ব্যাটসম্যানদের কিন্তু খারাপ আলোয় ব্যাট করতে হবে।’’
ওয়াকায় মিচেল জনসনের শেষ টেস্ট দেখতে মাঠে লোক হয়নি। তবে অ্যাডিলেডের ঐতিহাসিক টেস্টে গ্যালারি ভর্তি থাকারই ইঙ্গিত। টিকিট বিক্রির কথা বলতে গিয়ে অ্যাসেজের তুলনা টেনে আনছেন মাঠ কর্তৃপক্ষ। বিকেল চারটের পর টিকিটের দামও কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই টেস্টে আরও একটা নজিরবিহীন ঘটনা ঘটতে চলেছে। টেস্টের প্রথম বিরতি হবে ‘টি-ব্রেক’। মনে করা হচ্ছে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অভূতপূর্ব এই ‘এক্সপেরিমেন্ট’ যদি কোথাও সফল হতে পারে, তো সেটা অ্যাডিলেডেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy