ড্রেসিংরুমের রসায়নই ইস্টবেঙ্গলের সাফল্যের আসল চাবিকাঠি। এমনটাই দাবি নাইজিরিয়ান গোলমেশিন র্যান্টি মার্টিন্সের।
জুনিয়ার-সিনিয়রদের মেলবন্ধন, ভিন রাজ্যের ফুটবলারদের মধ্যে সুসম্পর্ক, বিদেশিদের আপন করে নেওয়া--- এ সব কারণেই নাকি অন্য ক্লাবগুলোর চেয়ে এগিয়ে লাল-হলুদ ব্রিগেড। কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরের দিন এই কথাগুলোই বারবার বলতে শোনা গেল র্যান্টি মার্টিন্সকে। “আমাদের ড্রেসিংরুমে ফুটবলারদের মধ্যে যে বোঝাপড়া আর সুসম্পর্ক রয়েছে, তার জন্য আমরা অন্য ক্লাবগুলোর থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছি। এটাই আমাদের সাফল্যের অন্যতম অস্ত্র।”
ইস্টবেঙ্গলকে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন করার পর দিন একেবারে খোলামেলা মেজাজে পাওয়া গেল র্যান্টিকে। কথা বলে মনে হল, তিনি এখনও লিগ জয়ের ঘোরের মধ্যেই রয়েছেন। কিছুটা স্বভাববিরুদ্ধ ভাবে উচ্ছ্বাস করতেও দেখা গেল র্যান্টিকে। ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়েই প্রথম ট্রফি জয়। নাইজিরিয়ান গোলমেশিনের মতে, “ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে প্রথম ট্রফি জিততে পারাটা সত্যিই মধুর।” লিগ জয়ের সেলিব্রেশন করতে বুধবার রাতে ডুডুদের নিয়ে গেলেন হোটেলে।
ড্রেসিংরুমের রসায়ন ছাড়াও র্যান্টির ব্যাখ্যায় লাল-হলুদের সাফল্যের কতকগুলো কারণ উঠে এসেছে—
এক) প্রহ্লাদ রায়, অবিনাশ রুইদাস, অভিষেক দাসদের মতো জুনিয়র ফুটবলারদের দুরন্ত পারফরম্যান্স ছাড়া কলকাতা লিগ জেতা সম্ভব ছিল না।
দুই) ডুডুর মতো অভিজ্ঞ এবং ছন্দে থাকা ফুটবলার দলে যোগ দেওয়ায় ইস্টবেঙ্গলের শক্তি বেড়েছে।
তিন) ডার্বি জয় খেতাবের পথকে মসৃণ করেছে।
চার) চোট আঘাত সমস্যায় ভুগতে হয়নি ইস্টবেঙ্গলকে।
ইস্টবেঙ্গলে এখন পুরো এক মাস ‘নো ফুটবল’। ছুটির এক মাস কী করবেন? খানিক ভেবে র্যান্টি বললেন, “ইচ্ছে আছে বাইরে যাওয়ার। তবে আমার ছেলেমেয়েদের স্কুলের ছুটির উপরই নির্ভর করছে কোথায় যাব!”
কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তাঁর লক্ষ্য এখন ফেড কাপ এবং আই লিগ। সে জন্য ওই দুই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন। বলেও দিলেন, “সবে তো ট্রফি তোলা শুরু। ফেড কাপ আর আই লিগটাও পেতে হবে এ বার।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy