লাজংএফসি-১ : ইস্টবেঙ্গল-০
(আইজ্যাক)
আই লিগ ২০১৬-র নেপথ্য কারিগর কে? সোজা উত্তর— ইস্টবেঙ্গল!
প্রথমে অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো খেতাবের দিকে ছোটা মোহনবাগানকে হারিয়ে বেঙ্গালুরু এফসি-র আশা বাড়িয়ে তোলা। তার পরে নিজেরা বেঙ্গালুরুর কাছে হেরে সুনীল ছেত্রীদের কার্যত ট্রফির দরজায় পৌঁছে দেওয়া। সঙ্গে নিজেরা খেতাব দৌড়ের বাইরে চলে যাওয়া।
লিগের নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ার পরেও লাল-হলুদের ‘কাজ’ যেন অপূর্ণ ছিল। রবিবার টুর্নামেন্টের শেষ দিন শিলংয়ে লাজংয়ের কাছে হেরে এ বার তাদের অবনমন বাঁচিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল! নেমে গেল আর এক পাহাড়ি দল আইজল এফসি।
দু’জায়গায় মিল— বেঙ্গালুরুর মতো শিলং থেকেও হারের লজ্জা নিয়েই ফিরছে লাল-হলুদ। অমিল— রবিবার কোচের আসনে ছিলেন না কোনও বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। বদলে ছিলেন ইস্টবেঙ্গলে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা ট্রেভর জেমস মর্গ্যান।
নেহরু স্টেডিয়ামে এ দিন দেখার ছিল মর্গ্যান এসে টিমকে পুরনো ছন্দে ফেরার দিশা দেখাতে পারেন কি না। প্রাক্তন কোচ বিশ্বজিৎ ব্যক্তিগত কাজে টিভিতে খেলাটা দেখতে পারেননি। তবে রেজাল্ট জানার পরে ফোনে বললেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল হেরেছে মানে খারাপ খবর। কিন্তু সাহেব কোচ যখন এসেছেন তখন ভবিয্যতে ভাল কিছু হবে আশা করা যায়।’’
শিলংয়ের বিরুদ্ধে তাঁর সেই চেনা ৪-১-২-১-২ ছকে টিম সাজিয়েছিলেন মর্গ্যান। মাঠে অবশ্য দেখা গেল ব্রিটিশ কোচের পুরনো সৈন্যরাই ম্রিয়মান। খাবরা গোড়ালির চোটের অস্ত্রোপচারের পর দৌড়টাই বদলে ফেলেছেন। বাঁ দিকে সরতে দেরি করেন। এ দিন গোলটাও ইস্টবেঙ্গল খেল খাবরার সেই সীমাবদ্ধতার জেরে। মেহতাব, অর্ণবও তথৈবচ। দু’জনেরই গতি ও টার্নিং কমেছে। আর ডংকে সাহেব কোচ দুই স্ট্রাইকারের পিছনে রেখেছিলেন বটে। কিন্তু কোরিয়ানের যা খেলার ধরন তাতে তিনি বেশি সচল উইংয়েই।
আর ইস্টবেঙ্গল? একটা সময় খেতাবের দৌড়ে থাকা দল আই লিগ শেষ করল ২৫ পয়েন্টে তিন নম্বরে। এ দিনের অন্য ম্যাচে মুম্বই এফসি-র বিরুদ্ধে ০-৪ হেরে ডিএসকে শিবাজিয়ান্স সবার শেষে আই লিগ শেষ করায় হারাল আসন্ন ফেড কাপ খেলার সুযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy