খেতাব-যুদ্ধে নামার আগে গতকাল বলেছিলেন, “আমার জীবনের সবচেয়ে বড় দিন হতে চলেছে।” আবু ধাবির ইয়াস মারিনা সার্কিটে ফর্মুলা ওয়ান মরসুমের শেষ রেস জিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের ট্রফিটা হাতে নিয়ে পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে যখন আনন্দে কাঁদছেন, মুহূর্তটা সত্যিই লুইস হ্যামিল্টনের জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় হয়ে রইল!
২০০৮-এর পর উনত্রিশ বছরের ব্রিটিশ তারকার এটা দ্বিতীয় বিশ্বখেতাব। যিনি বলছেন, “২০০৮ দারুণ ছিল ঠিকই। কিন্তু এ বার এত রকম চাপ সামলে জেতার অনুভূতিই আলাদা।”
হ্যামিল্টন যে চাপের কথা বলেছেন, তার নাম নিকো রোজবার্গ। চ্যাম্পিয়ন দল মার্সিডিজের দুই তারকা সেই ১৯৯৭ থেকে বন্ধু, কার্টিংয়ের প্রতিদ্বন্দ্বীও। কিন্তু এ বারের খেতাব-যুদ্ধ সেই বন্ধুত্বেও ফাটল ধরায়। এত তীব্র ছিল দু’জনের প্রতিযোগিতা। তবে নির্ণায়ক রেসে হ্যামিল্টন বনাম রোজবার্গ জমল না যন্ত্রের খামখেয়ালিপনায়। শুরুতেই পোল পোজিশনে থাকা রোজবার্গকে টেক্কা দিয়ে লিড নেন হ্যামিল্টন। কিন্তু গাড়িতে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় আর গতিই তুলতে পারলেন না রোজবার্গ। শেষ করলেন চোদ্দোতম স্থানে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইলিয়ামসের ফিলিপে মাসা ও ভলতেরি বোতাস।
রেসের শেষে গাড়ি পার্ক করেই লাফিয়ে নেমে ছুটে গিয়ে হ্যামিল্টন জড়িয়ে ধরেন বাবা-মা-ভাই এবং বান্ধবী, পপ তারকা নিকোল শেরজিঙ্গারকে। গোটা পরিবার সকালেই ইংল্যান্ড থেকে উড়ে আসে তাঁকে চমকে দিতে। অপেক্ষায় ছিল গোটা ব্রিটেনও। রেস শেষ হতেই যুবরাজ উইলিয়ামস থেকে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনঅভিনন্দনের বন্যা বয়ে যায়। একাধিক চ্যাম্পিয়নশিপ জেতায় জ্যাকি স্টুয়ার্টের মতো কিংবদন্তির পাশে বসলেন হ্যামিল্টন।
এ দিকে, ফোর্স ইন্ডিয়া মরসুম শেষ করল ১৫৫ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে। গতবার ৭৭ পয়েন্টের থেকে যা অনেকটাই উন্নতি। এ দিনের রেসে ভারতীয় দলের নিকো হুলকেনবার্গ ষষ্ঠ এবং সের্জিও পেরেজ সপ্তম হলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy