ম্যাচের একমাত্র গোলদাতা বলবন্ত সিংহের সঙ্গে সুভাষ ভৌমিক। শনিবার। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।
ডার্বি জিতেই বলবন্ত সিংহের চোখ আই লিগ ট্রফিতে।
শনিবার রাতে মোহনবাগানের তিন পয়েন্ট এল তাঁর গোলেই। কিন্তু ডার্বির নায়ক হওয়া নয়, বলবন্তের আসল লক্ষ্য বাগানের ট্রফি খরা কাটানো। “ডার্বি জিতেছি ঠিক আছে। সমর্থকরা আনন্দ করুক। আমার লক্ষ্য আই লিগ। লিগ না জিততে পারলে কোনও মূল্য থাকবে না ডার্বি গোলের,” বলেন বলবন্ত। ছয় অ্যাওয়ে ম্যাচ বাকি থাকতে এখনই মোহনবাগানের পাশে ‘চ্যাম্পিয়ন’ তকমাটা লাগিয়ে দেওয়া ঠিক নয়, সেটাও মানছেন হোসিয়ারপুরের বাসিন্দা। তাঁর মন্তব্য, এখনও ‘দিল্লি বহোত দূর হ্যায়’। মাঠ ছাড়ার সময় পায়ের ব্যথায় খোড়াচ্ছিলেন। বাড়ি থেকে ফোনে বলবন্ত বলছিলেন, “অনেক কঠিন ম্যাচ বাকি। ডার্বি জয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ল ঠিকই। কিন্তু এখন পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। এত বড় টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক থাকাটা সবচেয়ে জরুরি।”
তবে ডার্বির নায়ক যাই বলুন, নব্বই মিনিট শেষ হতে না হতেই তাঁকে ঘিরে উপচে পড়ল সমর্থকদের ভালবাসা। ‘মিক্সড জোন’ ছেড়ে বেরনোর সময় সবুজ-মেরুন সমর্থকরা তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন। গাড়িতে ওঠার সময় তাঁকে ঘিরে উদ্বেলিত জনতা। জীবনে অনেক ম্যাচ খেললেও, ডার্বি-গোলই তাঁর স্মরণীয় মুহূর্ত সেই কথাও মানছেন লিওনেল মেসির ভক্ত। “এমন পরিবেশে আগে কোনওদিন খেলিনি। আইএসএলেও খেলেছি। কিন্তু কলকাতা ডার্বির মতো উত্তেজনা কোনও ম্যাচে দেখিনি। সমর্থক আর পরিবারকে গোলটা উত্সর্গ করলাম।”
মোহনবাগান ড্রেসিংরুমে এ দিন শ্যাম্পেন ছিল না। তাতে কী, জলের বোতল তো ছিল! সেটা ছিটিয়েই চলল একপ্রস্থ সেলিব্রেশন। তবে বলবন্তের সতীর্থ পিয়ের বোয়া সেলিব্রেশনের মধ্যেও সমর্থকদের সতর্ক করে দিয়ে বললেন, “আই লিগ জেতার দিকে এক ধাপ এগোলেও এখনও কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হইনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy