বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখতে মেলবোর্ন এসে দুটো জিনিস চোখে পড়ল। প্রথম, ফাইনাল দেখতে আসা প্রচুর ভারতীয়। রবিবার নিঃসন্দেহে বাকি দেশের চেয়ে ভারতীয়রাই বেশি থাকবেন এমসিজিতে। দ্বিতীয়, ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে দেখা হল। বড় ম্যাচ নিয়ে ও দারুণ উত্সাহী। দেখে ভাবছি ট্রেন্ট বোল্টের সঙ্গে ওয়ার্নারের যুদ্ধটা ম্যাচের বড় ফ্যাক্টর হবে কি না।
তিনটে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা থেকে দুটো টিমকেই বলব, এই চ্যালেঞ্জটাকে মাথায় চড়তে দিও না। ওটাকে দু’হাতে জড়িয়ে ধরো। ফলাফল না ভেবে মুহূর্তটার মধ্যে থাকো। আতঙ্ককে জায়গা দিও না। ফাইনাল বলে নতুন কিছু কোরো না।
প্লেয়ারদের বিচারে অস্ট্রেলিয়া হয়তো নিউজিল্যান্ড টিমের চেয়ে সামান্য এগিয়ে। ওদের বোলিং দুর্দান্ত। কোয়ার্টার আর সেমিফাইনালে তো মিচেল স্টার্কের চেয়েও বেশি বিষাক্ত দেখিয়েছে জশ হ্যাজলউডকে। ওদের ব্যাটসম্যানদেরও প্রায় প্রত্যেকেই একটা বড় স্কোর পেয়েছে।
তা ছাড়া মাইকেল ক্লার্ক জানে বড় মঞ্চে কী ভাবে খেলা উচিত। তবে অবসর ঘোষণার সময়টা ও ঠিকঠাক বাছল কি না জানি না। ফাইনালের আগের দিন এ সব বলার আদর্শ সময় নয়। আর ওর এই অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারে একমাত্র অস্ট্রেলীয়রাই। তবে ওরা যদি ফাইনালের চাপে পড়ে যায় বা অন্যের উপর বেশি ভরসা করে, তা হলে নিউজিল্যান্ড বিপদ ঘটাতে পারে।
ব্ল্যাক ক্যাপসের এটাই বিশ্বকাপে দেশের বাইরে প্রথম ম্যাচ। কিন্তু দর্শক সমর্থন নিয়ে ওদের খুব চিন্তায় পড়তে হবে না। ভারতীয়রা মনে হয় ওদের জন্যই গলা ফাটাবে। এর সঙ্গে ওদের নিজস্ব সমর্থক। বরং নিউজিল্যান্ডের চিন্তার কারণ হল আগ্রাসী, ছন্দে থাকা অস্ট্রেলীয় পেস আক্রমণের বিরুদ্ধে ওদের ওপেনাররা কেমন খেলে। যদি ব্রেন্ডন ম্যাকালাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের মতো ব্যাট করে, তা হলে বাকি ব্যাটসম্যানরাও ওর থেকে আত্মবিশ্বাসটা পেয়ে যাবে। অস্ট্রেলীয় বোলিংয়ের মতো তীক্ষ্ন যদি কোনও বোলিং আক্রমণ থেকে থাকে তো সেটা এই নিউজিল্যান্ডের। বোল্ট আর টিম সাউদি যদি অস্ট্রেলীয়দের সুইংয়ে মাত করে দেয়, লড়াইটা জমবে।
এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে এক্সাইটিং টিম নিউজিল্যান্ড। ফাইনালে ওরাও সমান ফেভারিট। আমার সমর্থন গ্রিন আর গোল্ডের দিকে থাকবে। কিন্তু ফল উল্টো হলেও সেটা কিউয়ি ক্রিকেটের ভাবমূর্তির জন্য, ক্রিকেটের সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy