লোঢা কমিটির সুপারিশের ধাক্কায় গোটা দেশের ক্রিকেট প্রশাসনে টালমাটাল অবস্থা। বোর্ড সহ বিভিন্ন রাজ্য সংস্থায় ক্রিকেট প্রশাসন চালানোর মতো কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। সিএবি-ও ব্যতিক্রম নয়। এবং বঙ্গ ক্রিকেট প্রশাসনের নতুন চ্যালেঞ্জ— ২২ জানুয়ারির ইডেনে ভারত-ইংল্যান্ড ওয়ান ডে। যে রাজসূয় যজ্ঞে কত জনকে লোঢা আইন মেনে বৈধ ভাবে কাজে নামানো যাবে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
বাকি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার মতো সিএবিতেও বিদায়ী কর্মকর্তার সংখ্যা প্রচুর। প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ মতো। এঁরা সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে এখনই বাতিলের তালিকায় চলে গিয়েছেন এবং সিএবির কোনও কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকার অধিকার নেই। অতএব, ইডেন ম্যাচ আয়োজন নিয়ে ধন্ধ তৈরি হয়ে গিয়েছে সিএবিতে। টিম সৌরভ বলছে, অতীতে যে ভাবে নানা প্রতিকূলতা সামলে দিয়েছেন সিএবি প্রেসি়ডেন্ট সৌরভ, এ বারও তাই দেবেন। কিন্তু ঘটনা হল, প্রখর বিশ্বাসের সঙ্গে সেটা বলা হচ্ছে না।
শোনা যাচ্ছে, লোঢা আইনের ফাঁককে ইডেনের ম্যাচ আয়োজনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতে পারে। যে সব বিদায়ী কর্তাকে ইডেনে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়ে থাকে, তাঁদের এ বার সম্ভবত চিঠি মারফৎ সেই দায়িত্ব দেওয়া হবে না, মৌখিক ভাবে বলে দেওয়া হবে। যে সমস্ত দায়িত্বপ্রাপ্তের নাম পুলিশে বা বিসিসিআই-এর কাছে আগে থেকে পাঠাতে হয় অ্যাক্রেডিটেশনের জন্য, সেই তালিকায় কোনও বিদায়ী কর্তার নাম পাঠানো হবে না। শোনা যাচ্ছে, এ ভাবেই আপাতত কাজ সামলানো হবে বলে ঠিক হয়েছে। কিন্তু পরে লোঢা কমিটি বা আদালত নিযুক্ত প্রশাসক খতিয়ে দেখলে কী হবে? উত্তরে শোনা যাচ্ছে, সে সব নিয়ে এখনই কিছু ভাবা হয়নি।
এ দিকে, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের জন্য সেই উইকেট তৈরি রাখা হচ্ছে, যেখানে কর্নাটকের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচ খেলতে নেমে গৌতম গম্ভীরের দিল্লি প্রথম ইনিংসে ৯০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। তবে ক্রিকেট-ভক্তদের আশ্বাস দিয়ে কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘ওই ম্যাচে কিন্তু কর্নাটক ৪১৪ রানও করেছিল। এটা ভুলে যাবেন না। আদর্শ ওয়ান ডে উইকেট এটা। ব্যাটে-বলে সমান যুদ্ধ হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy