চার বা ছয় মারলে ডিমসিদ্ধ। ব্যাটসম্যানদের সেই ছক্কা দর্শকদের মধ্যে কেউ ক্যাচ নিতে পারলে ডিমসিদ্ধ বরাদ্দ তাঁরও। টুর্নামেন্ট জিতলে বিজয়ী দল পাবে একটি আস্ত ছাগল! আর রানার্স টিম পাঁচটি মোরগ। অভিনব এই ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আসর বসেছিল মুম্বইয়ের পালঘর জেলার জওহর তালুকে। আর ক্যাশলেস এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট যথেষ্ট হিট হয়েছে বলে দাবি করছেন আয়োজকরা।
নগদ টাকায় পুরস্কারের বদলে এই অভিনব পন্থায় টুর্নামেন্ট করার কথা মাথায় আসে কোচ উমেশ তামোরের। আয়োজকদেরও রাজি করান তিনিই। তামোরে বলেন, “জওহরের রাজীব গাঁধী স্টেডিয়ামে প্রতি বছরই এই টুর্নামেন্ট হয়। পুরস্কার মূল্য থাকত ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আর প্রতি বছরই পুরস্কারের টাকা নিয়ে দলগুলির মধ্যে সমস্যা হয়। এ বছর আমরা একটু আলাদা রকম ভাবার চেষ্টা করেছি।”
১৪ দলের এই টুর্নামেন্টের প্রবেশ মূল্য এক হাজার টাকা। কোনও দলই তা নিয়ে প্রতিবাদ করেনি। পাঁচ ওভারের ম্যাচগুলি খেলার সময়, প্রথম পুরস্কার ছাগলটিকে এমন জায়গায় বেঁধে রাখা হয়েছিল যাতে ক্রিকেটাররা সেটি দেখতে পান। জয়ী দলের ক্যাপ্টেন মনোজ প্রভু বলেন, “এ রকম অভিনব পুরস্কার জিতে আর তর সইছে না। কখন যে পিকনিকটা হবে সেটাই ভাবছি।” এমনকী পাঁচটি মোরগ জিতে বেজায় খুশি রানার্ন দলও।
আরও পড়ুন: এক বল খেলেই ইনিংস ডিক্লেয়ার, তা-ও ম্যাচ জিতেছিল এই দল
আর বাকিরা? আয়োজকদের এক জন বললেন, “প্রতি বার টুর্নামেন্ট শেষ হতেই পুরস্কার নিয়ে শুরু হত গোলমাল। মারপিট, গালিগালাজ কিছুই বাকি থাকত না। এ বারই প্রথম খেলার শেষে সবাই এক সঙ্গে বসে খেয়েছেন। এমনকী পুরস্কার হিসেবে পাওয়া ডিমও ভাগ করে নিয়েছে।”
পুরস্কার হিসাবে ছাগল, মোরগ দেওয়ার বিরোধিতা করেনি পশুপ্রেমী সংস্থাগুলিও। ঠানের সোসাইটি ফর প্রিভেনশন অফ ক্রয়েলটি টু অ্যানিমেলস (এসপিসিএ)-এর সভাপতি শকুন্তলা মজুমদার বলেন, “আইনত এই ধরনের পুরস্কারে কোনও বাধা নেই। তবে নৈতিক দিক থেকে বিষয়টি ঠিক কি না জানি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy