মেদ ঝরানো, রোগা হওয়া, ওজন কমানো বা বডি বিল্ডিং-এর প্রশ্ন উঠলে ডায়েটিশিয়ানরা প্রথমেই জিজ্ঞেস করেন ‘দিনে কত বার খান?’ তাঁরা বলে থাকেন বার বার অল্প পরিমাণে খেলে শরীরের হজম ক্ষমতা বাড়ে। যদিও, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এর কোনও ভিত্তি নেই। কেন? কারণ বিজ্ঞান বলছে, বেশি বার খাওয়ার সঙ্গে হজম ভাল হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। পেশীর গঠনের পুরোটাই নির্ভর করে প্রতি বার খাবারের সঙ্গে প্রোটিন খাওয়ার ওপর।
সব মিলের সঙ্গে প্রোটিন খাওয়া
১৯৬০ সালে কিছু খ্যাতনামা বডি বিল্ডার দিনে ৬-৮ বার খাওয়ার ডায়েট প্রচলন করেন। যুক্তি ছিল দিনে ৬ বারের বেশি খেলে তাদের শরীরে প্রোটিন সিন্থেসিস চালু থাকবে। এর ফলে তাদের প্রোটিন খাওয়ার পরিমাণ যেমন বাড়ে, তেমনই শরীরে পেশীর গঠনও হয়। অন্য দিকে, দিনে বেশি বার খাওয়ার সঙ্গে হজম ভাল হওয়ার কোনও সম্পর্ক খুঁজে পাননি বিশেষজ্ঞরা। যদিও বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বার বার খেলে শরীরে থার্মোজেনিক প্রভাব বাড়ে। তবে এর বাইরে হজম বেশি হওয়ার কোনও প্রমাণ এখনও খুঁজে বের করতে পারেননি গবেষকরা।
৩ বার খাওয়া বনাম ৬ বার খাওয়া
দিনে ৩ বার খেলে শরীরে অ্যামাইনো অ্যাসিডের পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। বিশেষ করে লিউসিনের মাত্রা কমে যাওয়া লক্ষ্য করা যায়। ৬ বার খেলে শরীরে প্রোটিনের পরিমাণও বাড়ে, আবার নিয়মিত প্রোটিন সিন্থেসিসের ফলে ক্যাটাবলিজম কমে। যদি স্বাস্থ্য ভাল থাকে তাহলে তা অ্যানাবলিজম বাড়াতেও সাহায্য করে। এ ছাড়াও সারা দিন খিদে কম রাখার জন্যও জনপ্রিয়তা পেয়েছে ৬-৮ বার খাওয়ার ডায়েট প্যাটার্ন। যা জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
কোন প্যাটার্ন বেশি ভাল?
এর উত্তর একটাই। যেটা আপনার জন্য বেশি উপযুক্ত। আপনার ক্যালরি ‘ইন’ বনাম ক্যালরি ‘আউট’ ফর্মুলার ওপরই নির্ভর করছে শরীর কতটা মেদ ঝরাবে ও কতটা পেশীবহুল হবে। মেদ ঝরাতে চাইলে আপনি দুটোর মধ্যে যে কোনও ডায়েট প্যাটার্ন মেনে চলতে পারেন। শুধু মাথায় রাখতে হবে ক্যালরি ইন, আউটের অনুপাত।
তবে যদি পেশীবহুল চেহারা চান তাহলে ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করেই ফিটনেস রুটিন তৈরি করা উচিত। কারণ, কার শরীরে কোন ডায়েটে কতটা পেশী গঠিত হবে তা নির্ভর করে শরীরের গঠন ও অন্যান্য বিষয়ের ওপর।
আরও পড়ুন: রেড মিট বিলাসের পার্বণ শুরু
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy