Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

আজ ভূতুড়ে দিন, বিশ্বে কোথায় কীভাবে নেমে আসেন তেনারা?

এসে গেল সেই দিন। কোন দিন বলুন তো? ঠিক ধরেছেন। অল সোলস ডে। মানে তেনাদের দিন। প্রতি বছর এই সময়টায় গোটা বিশ্বের আকাশে আজ নাকি ঘোরাফেরা করেন আত্মরা।

নিজস্ব প্রতিদেবন
শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৫ ১৩:২০
Share: Save:

এসে গেল সেই দিন। কোন দিন বলুন তো? ঠিক ধরেছেন। অল সোলস ডে। মানে তেনাদের দিন। প্রতি বছর এই সময়টায় গোটা বিশ্বের আকাশে আজ নাকি ঘোরাফেরা করেন আত্মরা। কোনও দেশে ভূত নামে একটু আগে, কোনও দেশে একটু পরে! তবে মোটামুটি অক্টোবর মাসের শেষ দিনটি থেকেই আনাগানো শুরু করেন ভূত, পেত্নি, শাকচুন্নি, বেহ্মদত্যিরা। হ্যালোইউন থেকে ভূতচতুর্দশী, সব দেশই এই সময়টায় স্মরণ করে নেয় পূর্বপুরুষদের আত্মাদের। একটু দেখে নেওয়া যাক কোন দেশ কীভাবে স্মরণ করে তেনাদের।

ভারত- শুরুতেই আসি ভারতের কথায়। ভূতচতুর্দশী। অর্থাত্ কালীপুজোর আগের দিন। দীপান্বিতা অমাবস্যার আগের রাতে চোদ্দ পুরুষের উদ্দেশ্যে চোদ্দ পিদিম জ্বালিয়ে ঘুমোতে যান ভারতীয়রা। চোদ্দ শাক ভাজাও খান বাঙালিরা।

মধ্য ইউরোপ- ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হ্যালোউইন উদযাপনের রীতি আলাদা আলাদা। তবে মোটামুটি একই সময়েই সব দেশে নেমে আসেন আত্মারা।

অস্ট্রিয়া- ৩০ অক্টোবর থেকে ৮ নভেম্বর টানা এক সপ্তাহ অল সোলস উইক পালন করে অস্ট্রিয়াবাসী। একে বলা সেলিনোচে। এই সময়টা পূর্বপুরুষদের মৃত আত্মার উদ্দেশ্যে টেবিলের ওপর রুটি, জল রেখে ল্যাম্প জ্বেলে ঘুমোতে যান অস্ট্রিয়ানরা। এর পর পয়লা নভেম্বর সন্ধেবেলা পালন করা হয় অল সেন্টস ডে। গোটা পরিবার প্রিয়জনদের সমাধিক্ষেত্রে শ্রদ্ধা জানান এই দিন।

জার্মানি- জার্মানরা কিন্তু দারণ ভয় পান ভূতে। তাঁরা ভাবেন হ্যালোউইনের রাতে ভূত নেমে এসে এই বুঝি খ্যাঁক করে গলা টিপে ধরল। ভয় তাই ছুরি, কাঁচি সব লুকিয়ে ফেলেন তার। তবে বার্লিনের হ্যালোউইন কস্টিউম পার্টি পৃথিবী বিখ্যাত।

চেক রিপাবলিক- চেক রিপাবলিকের হ্যালোউইন উদযাপন কিন্তু অন্য দেশের থেকে একেবারেই আলাদা। বাড়ির ফায়ারপ্লেসের পাশে এ দিন রাতে পরিবারের প্রত্যেক মৃত সদস্যের জন্য চেয়ার সাজিয়ে রেখে ঘুমোতে যান চেকরা। তাঁদের বিশ্বাস এই দিন রাতে আত্মারা নেমে এসে পরিবারের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে যান।

লাতিন আমেরিকা- লাতিন আমেরিকায় অল সোলস ডে পরিচিত ডে অফ দ্য ডেড নামে। মেক্সিকো ও স্পেনে এই দিনকে বলা হয় দিয়া দে লোস মুয়েরতোস। নভেম্বর মাসের প্রথম দু’দিন পালিত হয় মৃতদের দিন। তবে মৃতদের সমাধিক্ষেত্রে শ্রাদ্ধা জানানোর পরই কিন্তু লাতিনরা মেতে ওঠেন উত্সবে। কঙ্কালের সাজে ম্যাকাব্রেলি প্যারেডে হেঁটে উত্‍সব পালন করে লাতিন বিশ্ব। এই রেওয়াজ প্রায় হাজার বছরের পুরনো।

এশিয়া- ইউরোপ-আমেরিকার মতোই হ্যালোউইন পালন করে এশিয়াও। তবে চিন, জাপানে এই উত্সবের সময় একটু আলাদা।

জাপান- এই দিন ওবোন ফেস্টিভ্যাল পালন করেন জাপান। একে বলা হয় ফেস্টিভ্যাল অফ হাঙ্গরি গোস্টস। অক্টোবর-নভেম্বর নয়, গোটা গরমকাল জুড়ে জামানে চলে এই উত্সব। আত্মাদের ভয়ে সারা রাত আগুন জ্বালিয়ে রাখেন জাপানিরা। এই সময় রাস্তা জুড়ে লাল লন্ঠনের মেলা সত্যিই দেখার মতো দৃশ্য।

চিন- চাইনিজ বছরের শেষে পালিত হয় তেঙ্গ চেইহ। অর্থাত্ লন্ঠন উত্সব। জাপানের মতোই লন্ঠন জ্বালিয়ে অশুভ শক্তি দূর করে জাপানিরা। বিভিন্ন পশুপাখির আকারে তৈরি করা হয় সেই লন্ঠনগুলো।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE