রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও আমাদের পরিবারের অংশ হয়ে ওঠে ওরা। এক বার পরিবারের সদস্য হয়ে উঠলে ওদের ছাড়া যেন বাড়ি খালি খালি লাগে। অনেকে বাড়িতে পোষ্য রাখেন নিজেদের একাকিত্ব দূর করার জন্য বা ফাঁকা বাড়ি পাহারা দেওয়ার জন্য। অনেক নিঃসন্তান দম্পতি তাদের নিঃসঙ্গতা কাটান এদের সাহচর্যে। আবার অতিরিক্ত ব্যস্ত দম্পতি সকালে অফিসে বেরিয়ে গেলে সারা দিন খালি বাড়ি ছেড়ে যান পোষ্যদের নির্ভরতায়। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আমাদের জন্য সুবিধাজনক হলেও পোষ্যদের জন্য তা বেশ কষ্টকর।
স্কুপি স্ক্রাব অ্যানিমাল বিহেভিয়ারিস্ট সঞ্জীব কুমার জানান, বাড়িতে পোষ্যকে তখনই রাখা উচিত যদি সারা দিন তাদের খেয়াল রাখার জন্য কেউ থাকেন। ব্যস্ত দম্পতিদের তাই পোষ্য রাখার আগে বাড়িতে সর্বক্ষণ দেখভাল, কাজের জন্য কাউকে নিযুক্ত করা উচিত। এই মানুষটির সঙ্গে আপনার পোষ্যর বন্ধুত্ব হওয়াটাও জরুরি। তবে পোষ্যের কিন্তু আপনার সময়ও প্রয়োজন। তাই সকাল, বিকেল অবশ্যই আপনার সঙ্গে হাঁটতে নিয়ে বেরোন। প্রতি দিন একবার ওকে গ্রুম করুন, ব্রাশ করে দিন। আর তাই নিজের সময় যখন সীমিত তখন পাগ বা বিগলের মতো স্মল ব্রিড ডগ আপনার জন্য আদর্শ। কারণ যত বড় ব্রিড হবে তত বেশি যত্নের প্রয়োজন হবে।
যদি পোষ্যের দেখভাল করার জন্য বিশ্বাসযোগ্য কাউকে না পান? কুমার বলেন, ‘‘বাড়িতে কুকুরছানা নিয়ে আসার পর অন্তত এক সপ্তাহের ছুটি নিন। ছোট ছোট খেলনা দিয়ে, আদর, যত্নে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন। এরপর ধীরে ধীরে একা থাকা অভ্যাস করান ওকে। প্রথমে এক ঘণ্টার জন্য ওকে রেখে বাইরে যান। তারপর আস্তে আস্তে সেই সময়টা বাড়াতে থাকুন। তবে কখনই বাড়িতে বেঁধে রেখে যাবেন না যেন। এতে পোষ্য রাগী হয়ে উঠবে। যেহেতু কুকুর খুবই আবেগপ্রবণ হয় তাই আপনার সঙ্গে জুড়ে থাকা জিনিসপত্র নষ্ট করতে শুরু করবে। যেমন কামড়ানো, বালিশ চিবনো, বিছানায় মল, মূত্র ত্যাগ করা। যদি আপনার পোষ্য এই ধরনের আচরণ করে তা হলে বুঝতে হবে সে আপনার প্রতি রাগ প্রকাশ করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy