প্রতীকী ছবি।
গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বললে চালক মনসংযোগ করতে পারেন না। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ে। তাই আইন এনে তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরিবর্তে আইন বাঁচিয়ে ব্লু-টুথ ডিভাইসের মাধ্যমে কথা বলেন অনেক চালক। কিন্তু আদৌ কি এটা কম বিপদের? না, একেবারেই তা নয়। সমীক্ষার মাধ্যমে এই তথ্যই সামনে আনল অস্ট্রোলিয়ার কুইনসল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি।
কয়েকজন চালককে নিয়ে পরীক্ষা করে তাঁরা নিশ্চিত, মোবাইল ফোনে সরাসরিই হোক বা ব্লু-টুফ ডিভাইসে কথা বলা, দুই ক্ষেত্রে একই মাত্রায় মনসংযোগে বিঘ্ন ঘটে। ফলে পথ দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও একই।
কী ভাবে করা হয়েছে এই পরীক্ষা?
কুইনসল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির শিক্ষক শিমূল হক জানান, এক দল চালককে বেছে নেওয়া হয়েছিল এর জন্য। তাঁদের প্রত্যেককে তিন বার করে তিন ভাবে গাড়ি চালাতে বলা হয়। একবার মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে কথা বলতে বলতে, একবার ব্লু-টুফ ডিভাইসের মাধ্যমে কথা বলতে বলতে, এবং তৃতীয়বার কোনও ফোনালাপ ছাড়া গাড়ি চালাতে বলা হয় চালকদের। প্রতি বারেই তাঁদের সামনে নির্দিষ্ট দূরত্বে ফুটপাথ থেকে এক ব্যক্তি রাস্তার উপরে চলে আসেন। তাতে দেখা যায়, ফোনে ব্যস্ত না থাকলে খুব দ্রুত ফুটপাথ থেকে ওই ব্যক্তির রাস্তায় নেমে আসা চালক নজর করতে পারছেন। হাতে ফোন বা কানে ব্লু-টুথ ডিভাইস থাকলে সেই প্রতিক্রিয়াতে অনেকটা বেশি সময় লাগছে। এবং মোবাইল ফোন হাতে থাকুক বা কানে ব্লু-টুফ ডিভাইস, দুই ক্ষেত্রেই প্রতিক্রিয়া জানাতে মোটামুটি একই সময় লেগে যাচ্ছে।
শিমূল হক জানান, আসলে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য হাতের প্রয়োজন হয় না। ব্রেনের প্রয়োজন। আমরা যখনই ফোনে কথা বলি, ব্রেন অনেক বেশি সে দিকে মসগুল হয়ে থাকে। ফলে সামনের যাবতীয় বিষয়বস্তু চোখে পড়লেও অনেক সময়ই তাতে প্রতিক্রিয়া জানাতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায় ব্রেনের। সে কারণেই এই ঘটনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy