মন বসছে না কাজে। ছুটির মেজাজে এখন পায়ের তলায় শর্ষে। বেরিয়ে পড়তে পারলেই হল। বৃহস্পতিবার বছরের শেষ দিন।শুক্রবার ১ জানুয়ারি। সঙ্গে শনি-রবিও জুড়ে যাচ্ছে। চারদিনের একটা লম্বা ছুটি। প্ল্যান অবশ্যই হয়ে গিয়েছে। কোথায় যাচ্ছেন এই ছুটিতে? পাহাড় না সমুদ্র, নাকি জঙ্গল। শীতে সব জায়গারই একটা আলাদা মাহাত্ম রয়েছে। পাহাড়ে ঝকঝকে আকাশ পেতে হলে শীতটাই সঠিক সময়। সঙ্গে বাড়তি পাওনা কাঞ্চনজঙ্ঘার উঁকিঝুকি। সমু্দ্রের পাড়ে কখনওই খুব ঠান্ডা পরে না। তাই জমিয়ে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভাসাতেই পারেন। আর জঙ্গল? শীতে সাপ, জোঁকের ভয় নেই। নিশ্চিন্তে প্রকৃতির সবুজে ডুব দিন। হোটেল বা হোম স্টের ব্যালকনিতে বসেই কেটে যাবে সময়। শীতটা কিন্তু পাহাড়ে জাঁকিয়ে পড়েছে। তা বলে ব্যাগ ভরে গরম জিনিস নিয়ে কোনও লাভ নেই। বেগার খাটনি ছাড়া আর কিছুই হবে না।
সে দার্জিলিং হোক বা পুরী জলদাপাড়া হোক বা শান্তিনিকেতন ছোট্ট ট্যুরে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতেই হবে। পাহাড়ে গেলে গরম জিনিস নিন, কিন্তু একাধিক নিয়ে কোনও লাভ নেই। মোজা, গ্লাভস আর মাফলার বা টুপির সঙ্গে একটা সোয়েটার আর পাহাড়ি ঠান্ডা হাওয়া থেকে বাঁচতে রাখতেই পারেন উইন্ডচিটার। ফ্যাশনেবল জুতো নয় পায়ে থাকুক স্নিকার।পাহাড়ে যে কোনও সময় বৃষ্টির আগমন হতে পারে। তার জন্য ছাতা বা রেইনকোট রাখলে ভাল। এছাড়া কোল্ড ক্রিম আপনার ব্যাগে থাকাটা মাস্ট।
পাহাড়ি গ্রাম ও জঙ্গলে গেলে অবশ্যই টর্চ রাখবেন সঙ্গে। পাহাড়ে মশা না থাকলেও জংলি পোকার উপদ্রব খুব বেশি। তার জন্য ওডোমস জাতীয় কিছু রাখতেই পারেন। এটা জঙ্গলে আবার মাস্ট। সঙ্গে রাখুন পেট খারাপ, জ্বর, মাথা ব্যথা, বমির ওষুধ। উচ্চতা জনিত কারণে এরকম নানা সমস্যার সম্মুখীন হলে ওষুধ খেতে দেড়ি করবেন না। না হলে পুরো ঘোরাটাই মাঠে মারা যাবে।
সমুদ্রে বেড়াতে গেলে সব থেকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে। বিচে ঘুরে ঘুরে মাছভাজা তো অবশ্যই খাবেন। কিন্তু নিজের হজম ক্ষমতা বুঝে খান। ছুটির সময় যেখানেই যান না কেন আগে থেকে সব বুক করে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। না হলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। হঠাৎ আসা অতিথিদের দেখে দাম চরে যায় কয়েকগুন। ঠান্ডা মাথায় ডিল করুন। স্থানীয় লোকেদের সঙ্গে বিতর্কে জড়াবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy