আদা নাম শুনলেই ঝাঁঝালো গন্ধ নাকে আসে। এই ভারতীয় উপমহাদেশেই প্রথম দেখা মেলে আদার। খ্রিষ্টাব্দের প্রথম দিক থেকেই আদার ব্যবহার শুরু হয়। ভারতীয়দের মতোই প্রচুর পরিমানে আদা ব্যবহার করত রোমানরা। কিন্তু জানেন কী শুধু রান্নার স্বাদ ফেরাতেই নয়, ত্বক এবং চুলের বিভিন্ন সমস্যা মেটাতেও আদার জুড়ি মেলা ভার।
আসুন দেখে নিই কেমন ভাবে ঘরোয়া উপায় আদা ব্যবহার করেই মিলবে ত্বকের বিভিন্ন চটজলদি সমাধান।
• অ্যান্টি অক্সিডেন্টের কাজ করে আদা। ত্বকের বলিরেখা আটকাতে আদার জুড়ি মেলা ভার। ত্বক থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দিয়ে ত্বকে রক্ত চলাচল ঠিক রাখে। এই ভাবেই প্রতিহত করে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া।
• ত্বকের গভীরে ঢুকে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিহত করে বিভিন্ন দাগ তা সে ব্রণ-রই হোক বা মেচেতা পরিষ্কার করে আদা।
• আদায় আছে অ্যান্টিসেপটিক ক্ষমতা যা জ্বালা ভাব কমিয়ে দেয়। কোনও ভাবে পুড়ে গেলে পোড়া জায়গায় এক টুকরো আদার রস লাগিয়ে দিল জ্বালা ভাবের উপশম হয়।
• ত্বকের ঝকঝক ভাবে বাড়িয়ে তোলে আদা।
• ত্বকের টোনিংয়ের কাজ করে আদা। এক টুকরো আদা ত্বকের উপর এমনই বুলিয়ে নিন। কিছু ক্ষণ রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক ঝকঝকে এবং নরম হয়ে যাবে।
• ত্বকে সাদা দাগ দেখা দিচ্ছে? সাদা দাগের উফর বুলিয়ে নিন এক টুকরো আদা। এই ভাবেই আঘ ঘণ্টা মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহ খানেক এমন ভাবে পরিচর্যা করলে আপনার ত্বক থেকে সমস্ত অবাঞ্ছিত দাগ উধাও হয়ে যাবে।
• চুল ঝরে পরা কমিয়ে দেয় আদার রস। খুশকির সমস্যাও মেটায় আদা। এ ছাড়া চুলের ডগা ফাটাও রোধ করে আদা। শ্যাম্পুর সঙ্গে অল্প পরিমানে আদার রস মিশিয়ে লাগালে চুলের শুষ্ক ভাব কমে গিয়ে নরম হয় চুল।
এই সংক্রান্ত আরও খবর...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy