রবিবার নয়াদিল্লিতে হার্দিক পটেল। ছবি: পিটিআই।
প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্যে আন্দোলনের পর এ বার খাস রাজধানীতে এসে মোদী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন হার্দিক পটেল। গুজরাতে পটেল-পতিদারদের সংরক্ষণের দাবিতে গত কয়েক দিন ধরে অশান্ত হয়েছে রাজ্য। হিংসার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন দশ জন। নিহতদের পরিবারবর্গকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষতিপূরণ না দিলে শীঘ্রই এ নিয়ে সুরাত থেকে ‘ঘোষণা’ করবেন তিনি— রবিবার নয়াদিল্লিতে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিলেন হার্দিক। তবে কী সেই ঘোষণা তা এখনই খোলসা করেননি তিনি।
গত সপ্তাহেই আমদাবাদে একটি মেগার্যালিতে বিজেপিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন ২২ বছরের হার্দিক। এ বার নিজের রাজ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে আন্দোলনকে জাতীয় স্তরে ছড়িয়ে দিতে চান তিনি। এ দিন তিনি বলেন, “আন্দোলনকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই আমরা। এ নিয়ে দিল্লির যন্তরমন্তরে একটি প্রতিবাদ সভা করার কথাও চিন্তা-ভাবনা করছি। এর পর লখনউতে সভা হবে।” আন্দোলনের পরিধিকে বাড়ানোর কথা জানিয়ে হার্দিকের দাবি, “এটা ১০০ মিটারের রেস নয়, ম্যারাথন দৌড়।”
এর আগেও হার্দিক জানিয়েছিলেন, শুধুমাত্র নিজের রাজ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে আন্দোলনকে হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও রাজস্থানের মাটিতেও ছড়িয়ে দিতে চান তিনি। পটেলদের মতোই জাঠ, গুজ্জর বা রেড্ডিদের নিয়ে এই আন্দোলন করার কথাও বলেছেন হার্দিক। তাঁর দাবি, “দেশে ৮৫ শতাংশ দরিদ্র মানুষ রয়েছেন। এঁদের সকলের সংরক্ষণ প্রয়োজন।” পাশাপাশি হার্দিকের দাবি, সংরক্ষণের ফলে দেশ ‘৩৫ বছর পিছিয়ে’ পড়েছে।
এ দিন রেডিওতে ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে হার্দিকের এই আন্দোলনকে অবশ্য একহাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি, “এই আন্দোলনে দেশের মানুষ যারপরনাই ক্ষুব্ধ।” মোদীর আরও দাবি, “সর্দার পটেল ও গাঁধীর মাটিতে যা ঘটেছে, তার অভিঘাতে ব্যথিত দেশ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy