এই প্রথম টার্মিনেটরের সঙ্গে দেখা হল রোবটের। উত্তেজনায় ফেটে পড়ল চেন্নাইয়ের নেহরু স্টেডিয়াম। মাঝে একটা চেয়ার ফাঁকা রেখে কাছাকাছিই বসলেন দু’জনে। কিন্তু কই, কথা তো তেমন হল না...! দু’-একটি বাক্যেই শেষ হয়ে গেল আলাপচারিতা। একে অন্যকে সে ভাবে শুভেচ্ছাও জানালেন না। অস্বস্তি চরমে উঠল যখন দু’জনের কেউই মঞ্চে উঠে এক বারের জন্যও উল্লেখ করলেন না একে অন্যের নাম।
আর্নল্ড সোয়ার্ৎসেনেগার এবং শিবাজী রাও গায়কোয়াড় তথা রজনীকান্তকে পাশাপাশি যে ভাবে দেখতে পাবেন বলে কল্পনা করেছিলেন ভক্তেরা, তেমন কিছুই ঘটল না। দু’দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও তাই সোমবার সন্ধের ঘটনা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
সোয়ার্ৎসেনেগার অবশ্য বিতর্ক থেকে নিজেকে শত হস্ত দূরে রেখে বলেছেন, তাঁর চোখে আসল হিরো ভক্তরাই। নেহরু স্টেডিয়ামে দর্শকদের আবেগে ভেসে যেতে দেখে বললেন, “এই ভক্তরাই তো ফিল্ম হিট করায়!”
সোমবার ভোরে চেন্নাইয়ে পা রাখেন হলিউডের এই সুপারহিরো। যতটুকু সময় পেয়েছেন, চেনার চেষ্টা করেছেন দক্ষিণ ভারতের শহরটিকে। রুপোর হাতি থেকে ক্রিস্টালের মহারাজা সিংহাসন, হোটেলের ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভারতীয় শিল্পীদের হাতের কাজগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। ব্রেকফাস্টে চেখে দেখেন নাম্মা ধোসা। কী ভাবে বানাতে হয়, জানতে চান তা-ও। নৈশভোজে মজেন গলদা চিংড়িতে। সঙ্গে গার্লিক নান। শেষে মালাই কুলফিতে মুখ মিষ্টি করেন।
রোজকার নিয়ম ভেঙে ভারতীয় মশলাদার খানাপিনায় মজলেও, সকালে শরীরচর্চা করতে ভোলেননি স্বাস্থ্য-সচেতন সোয়ার্ৎসেনেগার। ৪৫ মিনিট জিমে গা ঘামানোর পর স্পা-তেও যান তিনি।
তবে শুধু খানাপিনা নয়, ফিল্ম নিয়ে ভারতীয়দের আবেগ দেখেও অভিভূত সোয়ার্ৎসেনেগার। বললেন, “কত ছবি তৈরি হয় এখানে! আমেরিকাতেও এত ফিল্ম হয় না।” এ কথা শুনেই সাংবাদিকদের পরের প্রশ্ন ছিল সুযোগ পেলে এ দেশের ছবিতে অভিনয় করবেন নাকি? সঙ্গে সঙ্গে টার্মিনেটরের জবাব, “এই কারণেই তো এত দূরে এসেছি। তামিল পরিচালক শঙ্করকেও বলেছি, ওঁঁর পরের ছবিতে আমাকে নিতে।”
সোমবার সোয়ার্ৎসেনেগার ও রজনীকান্তের মাঝে বসেছিলেন এই শঙ্কর-ই। জলঘোলা হয়েছে তাঁকে নিয়েও। ঘনিষ্ঠ মহলে শোনা যাচ্ছে, রজনীর সঙ্গে ভাল করে কথা না বলে সোয়ার্ৎসেনেগারের সঙ্গেই গল্পে মেতে ছিলেন শঙ্কর। আর তাতেই বেজায় চটেছেন রজনী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy