ম্যাগির পর এ বার পাস্তা। ফের বিতর্কে নেসলে।
উত্তরপ্রদেশের এক সরকারি পরীক্ষাগারে নেসলের তৈরি পাস্তার নমুনা পরীক্ষার পর তাতে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে সিসা মিলেছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের এক কর্তা। নেসলে অবশ্য তাদের তৈরি পাস্তাকে পুরোপুরি নিরাপদ বলেই দাবি করেছে।
মাস কয়েক আগে বাজার থেকে সাময়িক ভাবে ম্যাগি উঠে যাওয়ার প্রথম ধাপ ছিল এই উত্তরপ্রদেশেরই খাদ্য দফতরের এক তদন্ত রিপোর্ট। তাতে বলা হয়েছিল, মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে সিসা এবং আজিনামোতো (মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট) রয়েছে নেসলের তৈরি ওই ইনস্ট্যান্ট নুডলসের একটি ব্যাচের প্যাকেটে। দেশের বিভিন্ন পরীক্ষাগারের রিপোর্টে বারবার একই অভিযোগ উঠে আসার পর ভারতে ম্যাগি তৈরি ও বিক্রি নিষিদ্ধ করে কেন্দ্রীয় খাদ্য নিয়ামক সংস্থা ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া’ (এফএসএসএআই)। শেষ পর্যন্ত বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশে নতুন করে একাধিক সরকারি গবেষণাগারে পরীক্ষার পর সদ্য বাজারে ফিরেছে দু’মিনিটের জাদু। সেই জট মিটতে না মিটতেই গোল বাধল পাস্তা নিয়ে।
উত্তরপ্রদেশের মউ এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত খাদ্য আধিকারিক অরবিন্দ যাদব জানিয়েছেন, গত ১০ জুন ওই এলাকায় নেসলের এক ডিস্ট্রিবিউটরের কাছ থেকে নেসলের পাস্তার নমুনা সংগ্রহ করে লখনউয়ের একটি সরকারি পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল (মোটামুটি ওই একই সময়ে ম্যাগি-পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল)। খাদ্যে অনুমোদিত সিসার মাত্রা হল ২.৫ পিপিএম। কিন্তু সংগৃহীত ওই পাস্তার নমুনায় ৬ পিপিএম সিসা মিলেছে বলে ওই আধিকারিকের বক্তব্য। তিনি জানান, গোটা বিষয়টি জানিয়ে উত্তরপ্রদেশের মোদীনগরে নেসলের দফতরে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কেউ প্রাপ্তি স্বীকার না করায় সেই চিঠি ফেরত আসে।
নেসলে সংস্থা অবশ্য দাবি করেছে, তাদের তৈরি পাস্তা ১০০ শতাংশ নিরাপদ। তাদের অভিযোগ, লখনউয়ের ওই পরীক্ষাগার ন্যাশনাল অ্যাক্রি়ডিটেশন বোর্ড ফর টেস্টিং অ্যান্ড ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরিজ (এনএবিএল) বা এফএসএসএআই-এর স্বীকৃত নয়। তাই এমন একটি পরীক্ষাগারের দেওয়া রিপোর্ট মোটেও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না। আর চিঠির ব্যাপারে নেসলের দাবি, তারা কোনও চিঠিই পায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy