প্রতীকী ছবি।
মহিলার কোপানো দেহটা পড়ে শোয়ার ঘরের মেঝেতে। পাশে রক্তমাখা ছুরি। মেঝেতে রক্ত দিয়ে ‘স্মাইলি’ এঁকে লেখা, ‘‘আমি ওঁর জন্য ক্লান্ত। আমাকে ধরো।ফাঁসি দাও।’’
‘হাই প্রোফাইল’ শিনা বরা হত্যা মামলার তদন্ত করেছেন মুম্বইয়ের পুলিশ অফিসার দয়ানেশ্বর গানোর। সান্তাক্রুজের বাড়িতে খুন হয়ে গেলেন তাঁর স্ত্রী দীপালি। মঙ্গলবার রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফিরে স্ত্রীর মৃতদেহ দেখতে পান দয়ানেশ্বর।
খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না দয়ানেশ্বর এবং দীপালির ২১ বছরের ছেলে সিদ্ধান্তের। পুলিশের সন্দেহের তির তাঁর দিকেই। মায়ের দেহের পাশে রক্ত দিয়ে লেখাটাও সিদ্ধান্তের বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের।
কেন? পুলিশ সূত্রে খবর, রাতে দেরি করে বাড়ি ফেরার জন্য সিদ্ধান্তকে প্রায়ই বকাবকি করতেন দীপালি। সিদ্ধান্তের চাহিদা মতো হাতখরচও দিতেন না তিনি। এই সব কারণে মা আর ছেলের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। পুলিশের ধারণা, সম্ভবত সেই কারণেই মাকে খুন করেছেন সিদ্ধান্ত। এক তদন্তকারী অফিসারের কথায়, ‘‘দীপালির শরীরে পাঁচ-ছ’বার ছুরি দিয়ে কোপানোর দাগ রয়েছে।’’ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ‘ড্রপ আউট’ সিদ্ধান্ত পড়তেন ন্যাশনাল কলেজে। তাঁর বন্ধুরা জানান, দু’মাস ধরে মনমরা ছিলেন সিদ্ধান্ত। সোশ্যাল মিডিয়াতেও দেখা যায়নি তাঁকে। সিদ্ধান্তের মোবাইলটিও এখন বন্ধ।
শিনা বরা হত্যা মামলার তদন্তের জন্য গঠিত দলের সদস্য ছিলেন দয়ানেশ্বর। বর্তমানে তিনি খার থানায় কর্মরত। মঙ্গলবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ অফিস থেকে ফিরে দয়ানেশ্বর দেখেন বাড়ির দরজা বাইরে থেকে তালা বন্ধ। তিনি দীপালির মোবাইলে ফোন করেন। কিন্তু কোনও
উত্তর পাননি।
পুলিশ সূত্রে খবর, দয়ানেশ্বর জানিয়েছেন, কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করার পরে দরজার বাইরে রাখা ডাস্টবিনের মধ্যে তিনি দরজার চাবিটি খুঁজে পান। দরজা খুলে শোয়ার ঘরে গিয়ে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় দীপালিকে পড়ে থাকতে দেখেন। ভি এন দেশাই হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা দীপালিকে মৃত ঘোষণা করেন। একটি মামলা রুজু করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy