রেলের ওভারহেড তার কেটে নিয়ে পালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তাতেই ভেস্তে গেল রেল লাইনে মাওবাদীদের কৌটো বোমা বিস্ফোরণের ছক! দুর্ঘটনার কবল থেকে বাঁচল একটি মালগাড়িও। আজ মুরির কাছে নাশকতা এড়ানো গেলেও, বোকারোয় অবশ্য বিস্ফোরণে রেল লাইন উড়িয়ে দেয় মাওবাদীরা।
সম্প্রতি, রাঁচির অনগোড়া থেকে মুখলাল নামে জঙ্গিদের এক আঞ্চলিক কম্যান্ডারকে গ্রেফতার করা হয়। প্রতিবাদে আজ ঝাড়খণ্ড বন্ধের ডাক দেয় মাওবাদীরা। দু’টি জায়গায় রেল লাইন ওড়ানোর ছক কষেছিল তারা।
রেল পুলিশ জানায়, মুরি ও বরকাকানার মাঝামাঝি চিতরপুর স্টেশনের কাছে লাইনে কৌটো বোমা লুকিয়ে রেখেছিল জঙ্গিরা। সকালে ওই লাইনে বরকাকানাগামী একটি মালগাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই ছক শেষে বানচাল হয়ে যায়। গত সন্ধেয় চিতরপুরের ২০-২২ কিলোমিটার আগে বরলঙ্গা স্টেশন লাগোয়া এলাকা থেকে দুষ্কৃতীরা রেলের ওভারহেড তার কেটে নিয়ে পালায়। ফলে রাত থেকে ওই লাইনে রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আজ ভোরে চিতরপুরের কয়েক জন বাসিন্দা রেল লাইনে বোমার হদিস পান। ২৩ নম্বর জাতীয় সড়কের লাগোয়া রেলের উড়ালপুলের কাছে লাইনে সেটি বসিয়ে রাখা হয়েছিল। খবর যায় রাজরপ্পা থানায়।
রাজরপ্পা থানার ওসি লিলেশ্বর মাহতো বলেন, “জঙ্গিরা কখনও রেলের ওভারহেড তার কাটে না। সম্ভবত মাদকাসক্ত চোরের দলই ওই কাজ করেছে। রেলের জিনিসপত্রের চোরাপাচারকারী দলের লোকজনও ওই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। কিন্তু বিদ্যুৎবাহী ওভারহেড তার কাটা থাকায় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে।”
চিতরপুরে ছক নষ্ট হলেও, এ দিন দুপুরে বোকারোর কাছে যোগেশ্বর বিহার স্টেশনে রেল লাইন উড়িয়ে দেয় জঙ্গিরা। তার জেরে ওই রুটে রেল চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বাতিল করা হয় একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। জেলার পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র সিংহ জানান, ২ মিটার লাইন নষ্ট হয়েছে। এসপি আরও বলেন, ‘‘বড় নাশকতার ছক সম্ভবত ছিল না জঙ্গিদের। বিস্ফোরণের প্রকৃতি দেখে প্রাথমিক ভাবে তেমনই মনে হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy