কুয়াশার দাপট বহাল রবিবারেও। নয়াদিল্লিতে তাপমাত্রা নামল ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ছবি: এএফপি
হাড় কাঁপানো শীতেও থিকথিকে ভিড়। অনেকের দাবি, পঞ্জাবিদের পরে এখন দিল্লিতে বাঙালির সংখ্যাই সব থেকে বেশি। দিল্লি তো বটেই, উত্তরপ্রদেশের নয়ডা-গাজিয়াবাদ থেকে হরিয়ানার গুড়গাঁও দেশের রাজধানী শহরে যে বাঙালির ভিড় বাড়ছে, তা ফের বোঝা গেল দিল্লিতে বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের বইমেলায়। নিউদিল্লি কালীবাড়িতে ছয় দিনের এই মেলায় উপচে পড়ল ভিড়।
যোগেন চৌধুরী বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন ২৩ ডিসেম্বর। তার পর থেকেই বইয়ের বিকিকিনির পাশাপাশি প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ছোটদের বসে আঁকো বা ক্যুইজ চলছে। বইমেলাকে সামনে রেখে এ বার আরও কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বেঙ্গল অ্যাসোয়িয়েশন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তপন সেনগুপ্ত জানান, দিল্লির কবি-সাহিত্যিক-লেখকদের নাম-ঠিকানা এক জায়গায় এনে একটি তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলা হচ্ছে। একই ভাবে বাঙালি আমলা, পেশাদারদের নিয়েও নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট জনেদের একটি তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলা হবে।
বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের কর্তাদের বক্তব্য, দেশের সমস্ত বড় শহরেই বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশন রয়েছে। এই অ্যাসোসিয়েশনগুলিকে একজোট করে মার্চ মাসে বঙ্গ সম্মেলনেরও আয়োজন করা হবে। এই ধরনের উদ্যোগ এই প্রথম। এর আগে নিখিল ভারতীয় সাহিত্য সম্মেলন হয়েছে। কিন্তু বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনগুলিকে একজোট করার কথা আগে ভাবা হয়নি।
কলকাতা বইমেলার আয়োজক পাবলিশার্স ও বুক সেলার্স গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়ও এসেছিলেন দিল্লি বইমেলার উদ্বোধনে। তাঁর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলা শহরেই এখন বইমেলা হচ্ছে। সেই বইমেলার ভিড় কলকাতা বইমেলাকে প্রতিযোগিতায় ফেলে দিচ্ছে। একই ভাবে দিল্লি বইমেলা ঘিরেও মানুষের উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। এক পাঠকের বক্তব্য, “কলকাতা বইমেলা মহাকাব্য হলে দিল্লি বইমেলা ছোটগল্প। কিন্তু সেটাও কম আকর্ষণীয় নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy