Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

নীতীশকে সঙ্গে নিতে সনিয়াকে চাপ

সংসদে দলের অবস্থা ভাল নয়। রাজ্যে রাজ্যে দলের মধ্যে মাথা তুলছেন বিক্ষুব্ধরা। তাই সর্বভারতীয় স্তরে মান বাঁচাতে বিহারে আসন্ন দশটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। ২১ অগস্ট এই উপনির্বাচন।

শঙ্খদীপ দাস
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৪ ০৩:২০
Share: Save:

সংসদে দলের অবস্থা ভাল নয়। রাজ্যে রাজ্যে দলের মধ্যে মাথা তুলছেন বিক্ষুব্ধরা। তাই সর্বভারতীয় স্তরে মান বাঁচাতে বিহারে আসন্ন দশটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। ২১ অগস্ট এই উপনির্বাচন। কংগ্রেসের একটা বড় অংশ চাইছে, এই উপনির্বাচনে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করতে লালু প্রসাদ এবং নীতীশ কুমার উভয়ের সঙ্গে হাত মেলাক দল। সনিয়া ও রাহুল গাঁধীকে তা বোঝানোর চেষ্টাও হচ্ছে।

লোকসভা নির্বাচনে বিহারে ৪০টি আসনের মধ্যে ৩১টি দখল করেছে এনডিএ। বিজেপি-র সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ক্ষমতাসীন জেডিইউ মাত্র ২টি আসনে জিতেছে। যে ১০টি আসনে উপনির্বাচন, তার মধ্যেও ছ’টি বিজেপির দখলে। একটি জেডিইউ, তিনটি আরজেডির। লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের দায় নিয়ে নীতীশ মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়লেও এই গেরুয়া ঝড় ঠেকাতে তিনি মরিয়া। অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে লালু প্রসাদের রাষ্ট্রীয় জনতা দলও (আরজেডি)। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি রাজ্যসভার নির্বাচনে নীতীশ-লালু হাত মিলিয়েছেন। এ বার বিধানসভা উপনির্বাচনেও তাঁরা জোটের কথা ঘোষণা করেছেন।

কংগ্রেস যাতে এই জোটে সামিল হয়, সে জন্য দলের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য শাকিল আহমেদ, দিগ্বিজয় সিংহরা সনিয়া-রাহুলের ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন। তাঁদের যুক্তি, এ রকম পরিস্থিতিতে কংগ্রেস পৃথক লড়লে বিজেপি-রই সুবিধা হবে। শাকিল-দিগ্বিজয়ের যুক্তি যে খুব একটা ভুল, তা নয়। লোকসভা ভোটে বিহারে এনডিএ পেয়েছে ৩৮.৮ শতাংশ ভোট (বিজেপি ২৯.৪%, এলজেপি ৬.৪% এবং বিএলএসপি ৩%)। আরজেডি (২০.১%), জেডিইউ (১৫.৮%) এবং কংগ্রেস (মিলিয়ে পেয়েছিল মোট ৪৪.৩% ভোট। অর্থাত্‌ হিসেব বলছে, সনিয়া-লালু-নীতীশ হাত মেলালে বিজেপিকে বিপাকে ফেলা সম্ভব।

শাকিলদের আরও যুক্তি, নীতীশ পিছিয়ে পড়া শ্রেণির নেতা। লালুর জনভিত্তি যাদব ও সংখ্যালঘুদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাই বিজেপি উচ্চবর্ণ ও নিম্নবর্ণের হিন্দু ভোট সংঘটিত করার চেষ্টা করবে। কংগ্রেসের উচিত অনগ্রসর শ্রেণির অশোক চৌধুরীকে বিহারের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে এক্ষুনি সরিয়ে দিয়ে একজন উচ্চবর্ণের নেতাকে সেই পদে বসিয়ে লালু ও নীতীশের সঙ্গে জোট করা। সে ক্ষেত্রে এই তিন শক্তির জোট উচ্চবর্ণের ভোটও পাবে। শাকিলদের হিসেব অনুযায়ী প্রস্তাবিত এই জোট খুব কম করে ৫০% ভোট পেতে পারে।

অমিত শাহ বিজেপি সভাপতি হওয়ার পরে এই উপনির্বাচনে ভাল ফলের আশায় বিজেপিও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE