ভারত-ভুটান সীমান্তে বড়ো জঙ্গিরা নতুন করে সক্রিয় হওয়ায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। জঙ্গি দমনে দু’দেশের নিরাপত্তাবাহিনী কী ভাবে এক সঙ্গে কাজ করতে পারে, তা ঠিক করতে খুব শীঘ্রই দিল্লিতে বৈঠকে বসতে চলেছেন দু’দেশের প্রতিনিধিরা। প্রয়োজনে ২০০৩ সালের ‘অপারেশন ফ্লাশ আউট’-এর মতো ফের যৌথ অভিযান করারও ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মতে, বর্তমানে ভারত-ভুটান সীমান্তে অস্থিরতার পিছনে মূল কারণ হল ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অফ বড়োল্যান্ড বা এনডিএফবি (সংবিজিত গোষ্ঠী) জঙ্গিরা। অভিযোগ, মাঝে মধ্যেই সীমান্ত পার হয়ে ওই জঙ্গিরা ভুটানে ঢুকে সে দেশের ব্যবসায়ীদের অপরহণ করে ভারতে নিয়ে আসছে। চাওয়া হচ্ছে বিপুল অঙ্কের মুক্তিপণ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত ছয় মাসে জনা দশেক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেছে এনডিএফবি। এরা সকলেই ভুটানের বাসিন্দা। এমনকী ওই জঙ্গি গোষ্ঠীটি ভারত-ভুটান সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)-এর বর্ডার আউট পোস্টে হামলা পর্যন্ত চালিয়েছে।
গোটা বিষয়টি নিয়ে শুধু সাউথ ব্লকই নয়, উদ্বিগ্ন ভুটানও। ইতিমধ্যেই ভুটান সরকারের পক্ষ থেকে জঙ্গি দমনের জন্য এসএসবিকে তৎপরতা বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করা হয়। তার পরেই ভুটান গিয়ে সে দেশের শীর্ষ পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এসএসবি-র ডিজি বংশীধর শর্মা। গোয়েন্দা সূত্র অনুযায়ী, ‘অপারেশন ফ্লাশ আউট’-এর বদলা নিতেই পরিকল্পিত ভাবে ভুটানের ব্যবসায়ী ও শীর্ষ স্তরের সরকারি কর্মীদের অপহরণ করছে ওই জঙ্গিরা। আজ বংশীধর শর্মা বলেন, “ভুটান সাহায্য চাওয়ার পরেই ওই এলাকায় জঙ্গি দমনে তৎপরতা আরও বাড়িয়েছে এসএসবি। গত দু’মাসে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ডজন খানেক জঙ্গি মারা গিয়েছে।”এসএসবি সূত্র বলছে, কোকড়াঝাড়, উদালগুড়ি, বাকসা, চিরাং এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে। সীমান্ত সংলগ্ন গভীর জঙ্গল থেকে হঠাৎ করে ভুটানে ঢুকে পড়ছে তারা। ব্যবসায়ীদের অপহরণ করে ফের ভারতে লুকিয়ে পড়ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy