বিহারে বিপর্যয়ের পর ধাক্কা মধ্যপ্রদেশেও! রতলাম-ঝাবুয়া লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছে কংগ্রেস। গত লোকসভা ভোটে এখানে এক লক্ষ আট হাজারের কিছু বেশি ভোটে জিতেছিলেন বিজেপির দিলীপসিংহ ভূরিয়া। তাঁর মৃত্যুতে উপনির্বাচন হয় সেখানে। বিজেপির প্রার্থী ছিলেন দিলীপ-কন্যা নির্মলা ভূরিয়া। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কান্তিলাল ভূরিয়া তাকে প্রায় ৮৯ হাজার ভোটে হারিয়েছেন। উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস একে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে।
বিহারে ভরাডুবির পরে রতলামে জিতলে স্বস্তি পেত বিজেপি। কিন্তু ফল হয়েছে উল্টো। বিজেপি-শাসিত রাজ্যে এই হার নিয়ে শুরু হয়েছে দায় ঠেলার চেষ্টা। কারণ, একই সঙ্গে উপনির্বাচন হয়েছিল রাজ্যের দেবাস বিধানসভা কেন্দ্রে। সেখানে বিজেপিই জিতেছে। বিজেপিতে মোদীর বিরুদ্ধ-শিবিরেরৃ মুখ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। তাঁর অনুগামীরা ঘরোয়া আলোচনায় বলছেন, রতলামের ফলেই প্রমাণ মোদীর জনপ্রিয়তা কমছে, শিবরাজের নয়।
দিলীপ-কন্যা নির্মলা বর্তমানে বিজেপির বিধায়ক। তাঁকে জেতাতে রতলামে কার্যত ঘাঁটি গেড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ। তাঁর অনুগামীরা এখন ঘরোয়া আলোচনায় বলছেন, শিবরাজের প্রচারে খামতি ছিল না।
একটি লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন তেমন বড় ঘটনা নয়। তবু রতলাম-ঝাবুয়ার ফলকে অর্থবহ মনে করছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, বিজেপি-শাসিত রাজ্যে শাসক দলের এই পরাজয়েই স্পষ্ট, মোদী হাওয়া বলে কিছু নেই। রতলাম-ঝাবুয়া থেকেই ঘুরে কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু হল, এমনটাও বলতে শুরু করেছেন কংগ্রেসের নেতারা। কান্তিলালের জন্য প্রচার করতে রাহুল গাঁধী বা দলের কোনও কেন্দ্রীয় নেতা যাননি। কিন্তু ফল প্রকাশের পর রাহুল তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। লোকসভায় কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা ৪৪ থেকে বেড়ে ৪৫ হল। দলের মুখপাত্র তথা দিল্লির প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অজয় মাকেনের কথায়, ‘‘কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবনে যতটা সময় লাগবে বলে মনে হচ্ছিল, এখন দেখা যাচ্ছে তার থেকে দ্রুত উন্নতি হচ্ছে।’’
কান্তিলালের দাবি, ‘‘মধ্যপ্রদেশে বিজেপির শেষের শুরু হয়ে গেল।’’ রতলাম ঝাবুয়া কংগ্রেসের পুরনো গড়। কংগ্রেসের হয়েই এখান থেকে পাঁচ বার জেতেন দিলীপসিংহ। পরে কংগ্রেসের টিকিটে কান্তিলাল ওই আসন থেকে জেতেন। ক্ষুব্ধ দিলীপ লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy