মুখ্যসচিবের কুকুর-প্রেমের মাসুল গুনছেন মানবসম্পদ উন্নয়ন সচিব। আর এই নিয়েই দেওয়ালির প্রাক্-মুহূর্তে সরগরম রাঁচি প্রশাসন। বিষয়টিকে আপাতত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে সরকারি ও পুলিশি স্তরে। তবে তলে তলে আমলা মহলে হাসাহাসি, রঙ্গ-রসিকতা অব্যাহত।
পশুপ্রেমী হিসেবে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যসচিব সজল চক্রবর্তী সুপরিচিতি। বাড়িতে তিনি বাঁদর পোষেন। কখনও আবার ছাগলও পোষেন। আবার রাস্তার কুকুরের দলকে পোষ্য বানিয়ে তাদের নিয়মিত খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেন। প্রয়োজনে তাদের চিকিৎসা, টিকাকরণের ব্যবস্থাও করেন। কিন্তু সেই পোষ্যরাই মাঝেমাঝে সজলবাবুকে বিপাকে ফেলে। যেমনটি হয়েছে আজ।
আজ সকালে রাজ্যের মানবসম্পদ উন্নয়ন সচিব মৃদুলা সিন্হা রাঁচির এইচইসি কলোনিতে, নিজের বাড়ির রাস্তাতেই হাঁটছিলেন। সেই সময় তাঁকে একটি কুকুরে কামড়ায়। ঘটনার পরে ধুরুয়া থানায় একটি অভিযোগ জমা দেন মৃদুলাদেবী।
স্থানীয় সূত্রের খবর, যে কুকুরটি তাঁকে কামড়েছে সেটি সজলবাবুর পোষ্য। রাঁচির পুলিশ সুপার (সদর) অনুপ বিথরে জানান, “থানায় যে অভিযোগটি জমা পড়েছে তাতে লেখা আছে এক ব্যক্তি কুকুরটিকে নিয়ে ঘুরছিলেন। সেটি হঠাৎ মৃদুলাদেবীকে কামড়ায়। সেটি মুখ্যসচিবের পোষা কিনা তা নিয়ে অভিযোগে কিছু লেখা হয়নি। তবে ঘটনার তদন্ত গিয়ে পুলিশ স্থানীয় মানুষের কাছে জানতে পারেন, কুকুরগুলি মুখ্যসচিবের পোষ্য।”
মুখ্যসচিব হওয়ার আগে পর্যন্ত এইচইসি কলোনিতেই সজলবাবু থাকতেন। সেখানে কয়েকজন আমলা ও কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাও থাকেন। সজলবাবু মুখ্যসচিব হওয়ার পরে কাঁকের মুখ্যসচিব-নিবাসে থাকেন। কিন্তু তিনি চলে যাওয়ার পরেও কুকুরগুলি কলোনিতেই রয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
একই সঙ্গে তাঁরা জানান, সজলবাবু ওই কুকুরগুলির নিয়মিত পরিচর্যা করতেন। কুকুরগুলিকে টিকাও দিতেন। মৃদুলা সিনহা কুকুর কামড়ানোর ঘটনা স্বীকার করেছেন। তবে তা নিয়ে এ দিন বাড়তি আর কোনও কথা বলেননি তিনি। টেলিফোন ছেড়ে দেন।
অন্য দিকে সজলবাবুর তরফ থেকেও কোনও জবাব পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন ধরেননি। তবে তাঁর এক সহায়ক ফোন ধরে বলেন, “ওই কুকুরগুলিকে ভ্যাক্সিন দেওয়া আছে। কিছু হবে না। এ নিয়ে অযথা হল্লা করা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, দু’ বছর আগে খাঁচা ভেঙে বেরিয়ে সজলবাবুর পোষা বাঁদর কার্যত ‘লঙ্কাকাণ্ড’ বাঁধিয়ে দিয়েছিল কোকরের ঢেলাটোলি এলাকায়। এক চিত্র-সাংবাদিককেও কামড়েছিল সজলবাবুর সেই পোষ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy