Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

স্থলসীমান্ত চুক্তি, মোদীকে ধন্যবাদ গগৈয়ের

স্থলসীমান্ত চুক্তিতে শেষ অবধি অসমকে অন্তর্ভুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। রাজ্য বিজেপির চাপে প্রাথমিক ভাবে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্থলসীমান্ত চুক্তি থেকে অসমকে বাদ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৫ ০৪:৩১
Share: Save:

স্থলসীমান্ত চুক্তিতে শেষ অবধি অসমকে অন্তর্ভুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ।

রাজ্য বিজেপির চাপে প্রাথমিক ভাবে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্থলসীমান্ত চুক্তি থেকে অসমকে বাদ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাও সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয়। কিন্তু এর তীব্র প্রতিবাদ করে গগৈ জানান, ‘‘রাজনৈতিক স্বার্থে বিজেপি এই সিদ্ধান্ত নিলে অসমেরই ক্ষতি। কারণ স্থলসীমান্ত চুক্তির পরে র‌্যাডক্লিফ লাইন নতুন করে টানা হলে করিমগঞ্জ জেলার লাঠিটিলা-দুমাবড়ি সেক্টরের লাঠিটিলা এলাকায় বাংলাদেশের দখলে থাকা ৭১৪ একর বিতর্কিত জমি অসমের হাতে আসবে। বড়ইবাড়ি কালাবাড়ি এলাকায় ১৯৩.৮৫ একর বিতর্কিত জমি ও পাল্লাঠাল এলাকার ৭৪.৫৫ একর জমি বাংলাদেশ পাবে।’’ গগৈয়ের হিসেবে, এখন ওই ২৬৮.৪০ একর জমি ভারতের ভিতরে নামে থাকলেও তা বাংলাদেশের হাতেই রয়েছে। তাই লেনদেন সম্পন্ন হওয়ার পরে অসম তথা ভারত মোট ৪৪৫.৬ একর জমি বেশি পাবে।

এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠান গগৈ। কংগ্রেসও দিল্লিতে সাফ জানায়, অসমকে বাদ রেখে এ সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধন বিল তারা মানবে না। ফলে গত কাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ফের সিদ্ধান্ত নেয়, অসমকেও চুক্তির আওতায় রাখা হবে। গগৈ আজ বলেন, ‘‘কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই একমত। কিন্তু বিজেপি বার বার মত বদলাচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রী যে শেষ অবধি অসমকে অন্তর্ভুক্ত করলেন তার জন্য ধন্যবাদ। ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষর হওয়া চুক্তির সফল রূপায়ণ হলে তা কেবল রাজ্য ও দেশের পক্ষে মঙ্গলের হবে তাই নয়, দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা ছিটমহল বিতর্কেরও অবসান হবে। উন্মুক্ত সীমান্তে বসানো যাবে পাকা বেড়া। ফলে চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ বন্ধ হবে।’’

এ দিকে, অসমকে চুক্তির আওতায় আনা নিয়ে আজ অসম গণ পরিষদ-সহ বিভিন্ন দল রাজ্যে বিক্ষোভ দেখায়। প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল ও প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির প্রতিলিপি পোড়ানো হয়। অগপ-র কার্যনির্বাহী সভাপতি অতুল বরা বলেন, ‘‘বিস্তর নাটক করার পরে বিজেপি শেষ অবধি কংগ্রেস ও বাংলাদেশের কাছে আত্মসমর্পণ করে অসমের আবেগকে বলি দিল। এর প্রতিবাদে রাজ্যে তীব্র প্রতিবাদী আন্দোলন হবে।’’ রাজ্য বিজেপি নেতারা অবশ্য এর পুরো দায় কংগ্রেসের উপরেই চাপিয়েছে। তাদের বক্তব্য, ওই বিল কংগ্রেসের আমলে আনা হয়েছিল এবং এখনও কংগ্রেসের চাপেই সেখান থেকে অসমের নাম বাদ দেওয়া সম্ভব হল না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE