জাতি ভিত্তিক সংরক্ষণ তুলে দিয়ে শুধুমাত্র আর্থিক দিকে পিছিয়ে পড়া ব্যক্তির ক্ষেত্রে তা বজায় রাখার বিষয়টি নিয়ে এ বারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।
বুধবার থেকে দিল্লিতে আরএসএস ও বিজেপির তিন দিনের একটি সমন্বয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সাম্প্রতিক অতীতে দুই দলের এটিই সবথেকে বড় বৈঠক। আর এই বৈঠকে বেনজির ভাবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এত দিন পর্যন্ত আরএসএসের দ্বিতীয় সারির নেতারা এই বৈঠক করলেও এ বারে প্রতি দিন উপস্থিত থাকবেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। আরএসএসের শীর্ষ সূত্রের মতে, হার্দিক পটেল সম্প্রতি পটেলদের জন্য সংরক্ষণ আন্দোলন করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। জাতি-ভিত্তিক সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার ব্যাপারে সুর আরও জোরালো হচ্ছে। এই অবস্থায় সরকারেরও এই বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করা উচিত। এ দিন দিল্লিতে আরএসএসের মুখপাত্র মনমোহন বৈদ্য বলেন, ‘‘এই বৈঠকে মোহন ভাগবত ও নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত থাকবেন। সেখানে সংরক্ষণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচনায় উঠে আসবে ধর্মের ভিত্তিতে জনগণনার প্রভাব ও সেনাদের ‘এক পদ এক পেনশন’-এর বিষয়টিও।’’
হার্দিক পটেল সম্প্রতি গুজরাতে পটেল সমাজকে সংরক্ষণের আওতায় আনার দাবি তুলে আন্দোলন করছেন। কিন্তু, এই দাবি তুলেও তাঁর বক্তব্য, যদি পটেল সমাজকে সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা না যায়, তাহলে সংরক্ষণের ব্যবস্থাটাই তুলে দেওয়া হোক। ধীরে ধীরে জাঠ, গুজ্জরদেরও তিনি তাঁর সংরক্ষণের আন্দোলনে সামিল করতে চাইছেন। আরএসএসের একটি অংশ মনে করছে, এটিই প্রকৃষ্ঠ সময় জাতি ভিত্তিক সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার। প্রকাশ্যে সঙ্ঘ পরিবার এখনও খোলসা না করলেও সঙ্ঘের মুখপাত্র মনমোহন বৈদ্যর বাবা মাধব গোবিন্দ বৈদ্য বলেন, ‘‘জাতির ভিত্তিতে সংরক্ষণের কোনও মানেই হয় না। কারণ, জাতির ভিত্তিতে এখন আর তেমন কেউ পিছিয়ে নেই। বড়জোর তফসিলি জাতি ও উপজাতির সংরক্ষণ এখনও বজায় রাখা যেতে পারে। কিন্তু সেটিও আর আগামী দশ বছরের বেশি নয়। তারপর জাতের ভিত্তিতে পুরো সংরক্ষণ ব্যবস্থাটাই তুলে দেওয়া উচিত। এত দিন ধরে শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্কের জন্য এটি প্রাসঙ্গিক করে রাখা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy