—ফাইল চিত্র।
সনিয়া গাঁধীকে কটাক্ষ, স্পিকারের সর্বদল বৈঠক, সব দলের সঙ্গে সরকারের বৈঠকের আশ্বাস— দিনভর বিজেপি-র নরম-গরম কৌশলেও সংসদ চলার ইঙ্গিত মিলল না। বরং কংগ্রেস কালও সংসদ চলতে দেবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল। তবে আগের অবস্থান থেকে এক ধাপ সরে কংগ্রেস শুধু এটুকু বলল, সরকার তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসুক। মুখ খুলুন প্রধানমন্ত্রীও।
পঞ্জাবে সন্ত্রাস আর তারপর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের আবেগ, এই দু’টিকে পুঁজি করে সরকার ভেবেছিল সংসদ আজ থেকে অন্তত সচল হবে। লোকসভা আজও কালামের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলিতে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন পঞ্জাবের সন্ত্রাস নিয়ে বিবৃতি দিতে ওঠেন, সেই সময়েও কংগ্রেস ওয়েলে নেমে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। ফলে সংসদ মুলতুবি করে দিতে হয়। অরুণ জেটলি তারপর কংগ্রেস সভানেত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, সন্ত্রাসের মতো জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে যখন সকলের একজোট হওয়ার কথা ছিল, সেই সময় সনিয়া গাঁধী কেন এই বিষয়েও আলোচনা করতে দিচ্ছেন না? সনিয়া গাঁধীর উচিত, সামনে এসে দেশবাসীর কাছে এর জবাব দেওয়া।
বিরোধীদের হাঙ্গামা নিরস্ত্র করতে দুপুরে সর্বদল বৈঠক ডাকেন স্পিকার। সেখানে সকলকে আবেদন করেন, অন্তত ওয়েলে এসে বা প্ল্যাকার্ড নিয়ে যেন হাঙ্গামা করা না হয়। অতীতে সব দলই এই কাজ করে এলেও কখনও না কখনও তো এতে ইতি টানা উচিত। কিন্তু বৈঠকেই কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খার্গে থেকে তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, সংসদে বিরোধীদের প্রতিবাদ জানানোর অধিকার রয়েছে। কিন্তু সংসদ চালাতে অনেকে আগ্রহী হলেও যে ভাবে কংগ্রেস অনড় মনোভাব নিয়ে আছে, তাতে সংসদ সচল হওয়ার কোনও ইঙ্গিত নেই। খার্গে বলেন, ‘‘অতীতে বিজেপি যে ভাবে বিরোধিতা করে সংসদ অচল করে এসেছিল, আমরাও সেই পথ নিয়েছি।’’ তবে কংগ্রেসের আর্জিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ আশ্বাস দিয়েছেন, একটি সর্বদল বৈঠক ডাকা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy