কম বয়সী এক যুবক, চোখে-মুখে তারুণ্যের ছাপ। ঠোঁটে আলগা হাসি। অথচ তার ভিতরে রয়েছে সম্পূর্ণ ‘মগজ ধোলাই’ হয়ে যাওয়া একটা মন। যে মন অত্যন্ত কড়া ধাতের। মানুষ মারতে বিন্দুমাত্র কুন্ঠা নেই এমনই এক কট্টর জঙ্গি যে এই রকম এক মুখের পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল সেনা অফিসারদের। দীর্ঘ কর্ম জীবনে বহু অভিজ্ঞতার সাক্ষী এই দুঁদে অফিসাররাও এ রকম জঙ্গির মুখোমুখি হয়তো খুব কমই হয়েছেন।
বুধবার গ্রেফতারের পর থেকেই সেনা অফিসারদের রীতিমতো ধন্দে ফেলছে উসমান। সে কে, কোথা থেকে এসেছে এবং এই হামলার পিছনে উদ্দেশ্যই বা কী ছিল তা নিয়ে ক্রমাগত বয়ান পাল্টে যাচ্ছে উসমান। বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে অফিসারদের। ধরা পড়ার পর থেকেই সে নিজের নাম কখনও জানায় উসমান, কখনও কাসিম কখনও বা মহম্মদ নাভেদ। প্রথম দফার জেরায় জানায় হামলার ১২ দিন আগে সে সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীরে প্রবেশ করে। রাতভর জেরার পর তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে, ১২ দিন নয়, ৯০ দিন আগে সে এবং তার সঙ্গী ভারতে ঢুকেছিল। তারপর থেকে তারা কখনও লুকিয়ে থেকেছে কুপওয়ারা, কখনও অনন্তনাগ, কুলগম, শ্রীনগর অথবা তাংমার্গে। লুকিয়ে থেকেই তারা ‘রেকি’ চালাচ্ছিল বিভিন্ন এলাকার। ছক কষ ছিল বড় হামলার। হামলার টার্গেট কী ছিল? সেখানেও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে উসমান ওরফে কাসিম ওরফে নাভেদ। কখনও বলে অমরনাথ যাত্রাই ছিল তাদের টার্গেট। পরে তা পাল্টে বলে সেনা কনভয়েই হামলার ছক কষে তারা। বার বার তার বয়ান পাল্টানোয় বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন সেনা অফিসারেরা। সম্পূর্ণ মগজ ধোলাই না হলে এক জনের পক্ষে এরকম অসম্ভব বলেই মত সেনা কর্তাদের।
তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সে প্রথম থেকে একই কথা বলছে। সে পাকিস্তানের ফয়সালাবাদের বাসিন্দা এবং লস্কর-ই-তইবার সদস্য। এবং আর একটা বয়ানেও অনড় থেকেছে উসমান। যে কথা সে সাংবাদিকদের সামনেও বলেছিল, ‘মানুষ মারতে তার ভাল লাগে।’
এই সংক্রান্ত আরও খবর:
কসাবের পর উসমান, হামলা চালিয়ে পাকড়াও পাক জঙ্গি
অমরনাথ যাত্রাই ছিল জঙ্গিদের নিশানা?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy