বিহার কংগ্রেসে ভাঙন ধরালেন নীতীশ কুমার। শুধু তাই নয়, নীতীশ কুমারকে কেন্দ্র করে আরও বড় ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে কংগ্রেস পরিষদীয় দল।
দল থেকে বহিষ্কৃত প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি অশোক চৌধুরি-সহ চার বিধান পরিষদ সদস্য গত কালই জেডিইউয়ে যোগ দিয়েছেন। অন্য তিন জন হলেন দিলীপ চৌধুরি, রামচন্দ্র ভারতী এবং তনবির আহমেদ দল ছেড়েছেন। চার নেতার বহিষ্কারের পরেও আজ বক্সারের কংগ্রেস বিধায়ক মুন্না তিওয়ারি এবং বরবিঘার বিধায়ক সুদর্শন প্রকাশ্যেই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন।
সূত্রের খবর, বিহারে কংগ্রেসের ২৮ জন বিধায়কের একটি বড় অংশ দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ। বিক্ষুব্ধ শিবিরের দাবি, অন্তত ১৬ জন বিধায়ক অশোক চৌধুরির পথ অনুসরণ করে নীতীশ শিবিরে ভিড়তে রাজি। যদিও প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কোকব কাদরি এই দাবি মানতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস অটুট রয়েছে। দল বিরোধী কাজের জন্য ওই চার জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’’
কাদরি যে দাবিই করুন না কেন, আজ ফোনে বক্সারের বিধায়ক মুন্না তিওয়ারি বলেন, ‘‘অশোক চৌধুরির সঙ্গে দল অন্যায় করেছে। অনেক কষ্ট করে বিহারে কংগ্রেসকে দাঁড় করিয়েছিলেন তিনি। তাঁর যদি এমন অবস্থা হয় তবে আমাদের মতো নেতাদের কী হবে তা সহজেই অনুমেয়। আমি নৈতিক ভাবে অশোক চৌধুরির সঙ্গেই রয়েছি।’’ মুন্না তিওয়ারির সুরই শোনা গেল বরবিঘার বিধায়ক সুদর্শনের মুখে। সুদর্শনের দাদু রাজো সিংহ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। আদ্যন্ত কংগ্রেসি পরিবারের সদস্য সুদর্শন বলেন, ‘‘আমি অশোক ভাইয়ার সঙ্গে আছি। দল তাঁকে কষ্ট দিয়েছে। অশোক ভাইয়া যেখানে থাকবেন আমিও সেখানে থাকব।’’ শুধু মুন্না তিওয়ারি বা সুদর্শন নন, বিধানসভায় কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা সদানন্দ সিংহও দল ছাড়ার তালিকায় রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এমনিতেই লালুপ্রসাদের তীব্র বিরোধী সদানন্দ। কিন্তু এ দিন ফোনে এ নিয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেন তিনি। ‘এখনও সময় হয়নি’ বলে গোটা বিষয়টি এড়িয়ে যান কহলগাঁওয়ের এই বিধায়ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy