Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
সন্ত্রাসে ফের বিদ্ধ পঞ্জাব

ফৌজি সেজে থানাতেও হামলা, হত ৮

পাকিস্তান সীমান্ত থেকে মাত্র দশ কিলোমিটার দূর পঞ্জাবের দীনানগর। সোমবার ভোরের আলো না ফুটতেই সেই শহরের বাসিন্দারা প্রত্যক্ষ করলেন পরের পর সন্ত্রাসবাদী হানা। যা শুরু হয় সকাল পৌনে পাঁচটায়, শহরের বাইরে একটি টেম্পো ও বাসের উপর হামলা দিয়ে।

ত্রাসের সোমবার। দীনানগর থানা চত্বরে পড়ে দুই পুলিশকর্মীর নিথর দেহ। পঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলায়। ছবি: রয়টার্স।

ত্রাসের সোমবার। দীনানগর থানা চত্বরে পড়ে দুই পুলিশকর্মীর নিথর দেহ। পঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলায়। ছবি: রয়টার্স।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৫ ০৩:০৮
Share: Save:

পাকিস্তান সীমান্ত থেকে মাত্র দশ কিলোমিটার দূর পঞ্জাবের দীনানগর। সোমবার ভোরের আলো না ফুটতেই সেই শহরের বাসিন্দারা প্রত্যক্ষ করলেন পরের পর সন্ত্রাসবাদী হানা। যা শুরু হয় সকাল পৌনে পাঁচটায়, শহরের বাইরে একটি টেম্পো ও বাসের উপর হামলা দিয়ে। এবং শেষ পর্যন্ত এসে পৌঁছয় শহরের থানায়। প্রায় বারো ঘণ্টা বাদে, বিকেল পাঁচটার একটু আগে যখন লড়াই শেষ হয়, তত ক্ষণে প্রাণ গিয়েছে পাঁচ পুলিশ-সহ আট জনের। সেই দলে রয়েছেন এক জন পুলিশ সুপার। এ ছাড়াও নিহত হয়েছে তিন জঙ্গি।

সন্ত্রাসবাদী এই হামলার পিছনে সীমান্তের ও পারের মদত রয়েছে, এমন তথ্য দিয়েছে খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আতঙ্কের রেশ কাটার অনেক আগেই তাই উঠে গেল গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন: সীমান্তের ও পার থেকে যদি এ ভাবে জঙ্গিদের মদত দেওয়া হয়ে থাকে, তা হলে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কতটা সম্ভব?

এ দিন ভোরে ঝড়ের গতিতে পঞ্জাবের গুরদাসপুর জেলার ছোট শহর দীনানগরে ঢোকে জঙ্গিরা। প্রত্যেকেরই হাতে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। পরনে সেনার পোশাক। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান থেকে জানা যাচ্ছে, নিজেদের গাড়ি ছেড়ে প্রথমে রাস্তা থেকে একটি টেম্পো অপহরণ করতে যায় জঙ্গিরা। কিন্তু টেম্পো চালক কোনও মতে প্রাণ বাঁচিয়ে সেখান থেকে পালান। এর পরই রাস্তার ধারের একটি ধাবায় হামলা চালায় তারা। এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত্যু হয় ধাবা মালিকের। পথে আর একটি গাড়ি থামায় তারা। মারুতি-৮০০। নম্বর পিবি০৯-বি-৭৭৪৩। গাড়ির মালিক কমলজিৎ সিংহ মাথারু পরে হাসপাতাল থেকে জানান, তাঁকেও গুলি করে জঙ্গিরা। কিন্তু তিনি কোনও মতে পালান।


সবিস্তার দেখতে ক্লিক করুন

জঙ্গিদের এর পরের নিশানা চণ্ডীগড়গামী একটি বাস। তাতে তখন প্রায় ৭০ জন যাত্রী ছিলেন। বাসটি লক্ষ করে গুলি চালায় তারা। জখম হন ছয় যাত্রী। উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে বাসচালক জঙ্গিদের দিকে বাস নিয়ে ধেয়ে গেলে তারা সেখান থেকে চম্পট দেয়। তখন চালক বাসটিকে নিয়ে সোজা হাসপাতালে চলে আসেন।

পরের লক্ষ দীনানগরের সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। তিন রোগীর উপরে গুলি চালায় জঙ্গিরা। দু’জনের মৃত্যু হয়।

ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে দীনানগর থানা। এর পর সেখানেই ঢোকে জঙ্গিরা। তখন ভোর সা়ড়ে পাঁচটা। থানায় ঢুকেই এক কনস্টেবলের উপর গুলি চালায় তারা। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি। চোখের সামনে সহকর্মীকে গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়তে দেখেছিলেন আর এক পুলিশকর্মী। কিন্তু তিনিই সাহস করে নিহত সেই কনস্টেবলের কোমর থেকে বার করে নেন রিভলবার। পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন জঙ্গিদের উপর। পুলিশের তাড়া খেয়ে জঙ্গিরা এর পর আশ্রয় নেয় থানা লাগোয়া একটি নির্মীয়মাণ বহুতলে। থানা সংলগ্ন কর্মীদের আবাসনের দিকে লক্ষ করেও গুলি ছুড়তে থাকে জঙ্গিরা। তত ক্ষণে গোটা দীনানগর জেনে গিয়েছে পুলিশ-জঙ্গি লড়াইয়ের খবর। থানা ঘিরে জমতে শুরু করেছে ভিড়। পরিস্থিতি বুঝে আজ সব স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করে দেয় প্রশাসন। এই আক্রমণের মাঝেই দীনানগর-পাঠানকোট শাখায় রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয় বেশ পাঁচটি তাজা বোমা। সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই অঞ্চলের রেল চলাচল।

এক সময় খলিস্তানি জঙ্গিদের অবাধ বিচরণক্ষেত্র প়ঞ্জাবের পুলিশকর্মীদের এখন কী অবস্থা, সেটা পরিষ্কার হয়ে গেল এ দিনের হামলায়। স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে দীনানগর থানার পুলিশদের হাতে ছিল মান্ধাতা আমলের বন্দুক। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটও ছিল না থানায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশবাহিনী বুঝতে পারে, জঙ্গিদের অত্যাধুনিক অস্ত্রের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ এঁটে ওঠা কঠিন।

পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, তাঁদের বিভ্রান্ত করতে আক্রমণকারীরা জায়গা পাল্টে পাল্টে গুলি চালাচ্ছে। এক অফিসারের কথায়, ‘‘ওরা দেখাতে চেয়েছিল, ওরা সংখ্যায় অনেক। তাই বারবার জায়গা বদলাচ্ছিল। কিন্তু আমরা বুঝে যাই যে ওরা সংখ্যা তিন থেকে চারের বেশি নয়।’’ তত ক্ষণে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেখান থেকে আসে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট, গাড়ি। আসে জঙ্গি দমন অভিযানে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সোয়াট (স্পেশ্যাল ওয়েপন অ্যান্ড ট্যাকটিক্স টিম) বাহিনীও। সাত জন শার্প শ্যুটারের সাহায্য নেওয়া হয় গোটা অভিযানে। পঞ্জাব পুলিশের আইজি গৌরব যাদব জানিয়েছেন, গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় এসপি (গোয়েন্দা) বলজিৎ সিংহের। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ঘোষণা করা হয়, শেষ হয়েছে অভিযান। মারা গিয়েছে তিন জঙ্গি।

দীনানগরে আজ দিনভর যে সন্ত্রাসবাদী হামলা চলল, তার সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ কতটা? খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে কড়া নিরাপত্তার থাকায় ‘নরম নিশানা’ হিসেবে পঞ্জাবকে বেছে নিয়েছে আইএসআই এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। পঞ্জাবে সীমান্ত পেরিয়ে চট করে পৌঁছনো যায়, তাই হামলা চালানোও সহজ। সর্বোপরি, এক কালে খলিস্তানি সন্ত্রাসে দীর্ণ এই রাজ্যে নতুন করে জঙ্গি কার্যকলাপের বীজ বপনের অবকাশ রয়েই গিয়েছে। সেই সম্ভাবনা যে এর মধ্যেই আইএসআই খতিয়ে দেখেছে, তা বিদেশ মন্ত্রক এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট। তাঁরা জানাচ্ছেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই নিঃশব্দে পঞ্জাবে উগ্রপন্থাকে নতুন করে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা। সে জন্য তারা টাকাও ছড়াচ্ছে। কয়েক বছর আগে লস্কর-ই-তইবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের প্রথম সারির জঙ্গি নেতারা বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল বা বিকেআইয়ের প্রধান ওয়াধওয়া সিংহের সঙ্গে বৈঠকও করে। জানা গিয়েছে, পঞ্জাবে ফের হামলা চালু করার ব্যাপারে কৌশলও স্থির হয়। সে জন্য ও পার থেকে অস্ত্র এবং অর্থও পাঠানো হয়েছে পঞ্জাবে। সম্প্রতি সাউথ ব্লকের কাছে জমা পড়া একাধিক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, পঞ্জাবের সুপ্ত আগ্নেয়গিরিকে জাগিয়ে তুলতে প্রবল ভাবে সচেষ্ট আইএসআই। এমনকী, এ দিনের হামলার পিছনেও লস্করের মাথা রয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।

স্বাভাবিক ভাবেই এর পরে প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া চালানো কী ভাবে সম্ভব? কারণ, শুধু এমন সন্ত্রাসবাদী ঘটনাই নয়, সম্প্রতি সীমান্তে বারবার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে ইসলামাবাদ। এমনকী, তাদের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সরতাজ আজিজও রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছেন, কাশ্মীর এবং বালুচিস্তান প্রসঙ্গ না থাকলে ভারতের সঙ্গে কোনও কথা নয়। এর পরেও ক্ষত মেরামত করে আলোচনার পথ তৈরির চেষ্টা চলছিল। কিন্তু আজ তা এসে পৌঁছল অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে। পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ বারবার যে শান্তি প্রক্রিয়ার দিকে এগোতে চাইছেন, সেটা বারবার বানচাল করে রেষারেষি এবং শত্রুতার বাতাবরণ কায়েম রাখাই আইএসআইয়ের লক্ষ্য— মনে করছেন কূটনীতিকদের একাংশও।

পঞ্জাব কিন্তু গত প্রায় আট বছরে তেমন বড় কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলা দেখেনি। ২০০৭-এর অক্টোবরে লুধিয়ানার এক সিনেমা হলে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল সাত জনের। তার পরে বড় বলতে এ দিনের ঘটনা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদলও হামলার দায় চাপিয়েছেন সীমান্তের ও পার থেকে আসা সন্ত্রাসবাদীদের উপরে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘জঙ্গিরা তো সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকেছে। কেন্দ্র যখন জানতই পঞ্জাবে হামলার আশঙ্কা রয়েছে, তা হলে আগে থেকেই সীমান্ত বন্ধের নির্দেশ দেয়নি কেন?’’

গোটা ঘটনা থেকে নিজেদের দূরে রাখতে তড়িঘড়ি এই হামলার নিন্দা করেছে পাক সরকার। পঞ্জাবে হামলার সূত্র ধরে গোটা দেশ জুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। সতর্ক করা হয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীকেও। পাক সরকার যা-ই বলুক না কেন, ভারত যে এর পিছনে তাদেরই হাত থাকার কথা ভাবছে, তা আজ স্পষ্ট রাজনাথ সিংহের বার্তাতেও। মধ্যপ্রদেশে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে তিনি বলেন, ‘‘আমরা তো পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি রেখেই আলোচনার রাস্তায় হাঁটতে চাই। কিন্তু দেশ আক্রান্ত হলে আমরা তার যোগ্য জবাব দেবই।’’

অমরনাথ যাত্রার জন্য এখন গোটা জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত আঁটোসাটো। আর সেই সুযোগেই জঙ্গিরা জম্মু-পাঠানকোট সীমান্ত বা জম্মুর চক হিরা সীমান্ত থেকে পঞ্জাবে ঢুকেছে বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। অভিযান শেষের পরে সন্ধের দিকে পঞ্জাব পুলিশের ডিজিপি সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ওই নির্মীয়মাণ বাড়িটি থেকে দু’টি জিপিএস, তিনটি একে-৪৭ রাইফেল এবং ১০টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে মিলেছে ‘মেড ইন চায়না’ লেখা অনেক গ্রেনেডও। জঙ্গিরা যে বড় নাশকতার লক্ষ্যে এসেছিল, তারও ইঙ্গিত দিয়েছে পুলিশ। জঙ্গিদের সদস্য সংখ্যা নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। পঞ্জাব পুলিশের দাবি ছিল তাদের হাতে এক জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে। অর্থাৎ মোট জঙ্গির সংখ্যা চার। কিন্তু সে কথা রাত পর্যন্ত স্বীকার করেনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাদের দাবি, তিন জঙ্গিই এসেছিল, আর তাদের সকলকেই খতম করা সম্ভব হয়েছে।

তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেরই অন্য একটি সূত্র বলছে, সরকারের শীর্ষ স্তর থেকেই আজ প্রথমে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল, যে ভাবেই হোক অন্তত এক জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করতেই হবে, যাতে মুম্বই হামলায় ধৃত আজমল কসাবের মতো এখানেও সেই জঙ্গিকেই সামনে রেখে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সন্ত্রাস দমন প্রশ্নে পাকিস্তানের দ্বিচারিতার মুখোশ খুলে দেওয়া সম্ভব হয়। অন্তত এক জন জঙ্গিকে জীবিত উদ্ধারের জন্যই বারো ঘণ্টা ধরে ওই অভিযান চালানো হয়েছিল বলে ওই সূত্রের খবর। না হলে ওই বহুতল বহু আগেই গ্রেনেড দিয়ে উড়িয়ে দিত পুলিশ। মন্ত্রকের ওই সূত্রের দাবি, ধৃত জঙ্গি গুরুতর ভাবে আহত বলেই তার গ্রেফতারি সরকারি ভাবে না দেখানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এসপি-র বাবাও
সংবাদ সংস্থা • চণ্ডীগড়

গুরুদাসপুরে নিহত এসপি (গোয়েন্দা) বলজিৎ সিংহের বাবা আচ্ছার সিংহও নিহত হয়েছিলেন জঙ্গিদের হাতেই। ১৯৮৫-এ পঞ্জাব পুলিশের ইন্সপেক্টর আচ্ছারের মৃত্যুর পরেই বাহিনীতে যোগ দেন বলজিৎ। তাঁর স্ত্রী, ১ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE