Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Border dispute

দলাই নিয়ে আরও চড়া বেজিংয়ের সুর

আর কোনও সাবধানবাণী নয়। কোনও সম্ভাবনার কথাও আর নয়। দলাই লামার অরুণাচল সফর ভারত-চিন সীমান্ত বিবাদ নিয়ে আলোচনায় বিরূপ প্রভাব ফেলবেই বলে জানিয়ে দিল চিন। এত দিন প্রায়শই অরুণাচলকে নিজেদের মানচিত্রে ঢুকিয়ে নিত বেজিং।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৪৫
Share: Save:

আর কোনও সাবধানবাণী নয়। কোনও সম্ভাবনার কথাও আর নয়। দলাই লামার অরুণাচল সফর ভারত-চিন সীমান্ত বিবাদ নিয়ে আলোচনায় বিরূপ প্রভাব ফেলবেই বলে জানিয়ে দিল চিন। এত দিন প্রায়শই অরুণাচলকে নিজেদের মানচিত্রে ঢুকিয়ে নিত বেজিং। আজ তারা বিবৃতি দিয়েই বলেছে, ‘দক্ষিণ তিব্বত’ (অরুণাচল)-এর মানুষ ভারতের ‘দখলদারি’তে প্রবল কষ্টে আছেন।

সম্প্রতি তাওয়াংয়ে গিয়ে তিব্বতের স্বশাসনের দাবি তুলেছেন দলাই লামা। অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুও বলেছেন, ‘‘আমাদের রাজ্যের সীমান্ত তিব্বতের সঙ্গে, চিনের সঙ্গে নয়।’’ সুতরাং কৌশলে পেমা তিব্বতের উপরে চিনের দখলদারির কথাই বলতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে চিনের আরও সুর চড়ানো স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাংয়ের মতে, ‘বিতর্কিত’ এলাকায় দলাইকে সফর করার অনুমতি দিয়ে তিব্বত নিয়ে নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে দিল্লি। চিনের দাবি, দলাই লামা ভারতের সাহায্যে নিজের বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজকর্ম বজায় রেখেছেন। ফলে নিজের ‘প্রভু’কে খুশি করতে তিনি নানা বিতর্কিত কথাবার্তা বলছেন। নিজেকে ‘ভারতের সন্তান’ বলেও পরিচয় দিয়েছেন একাধিক বার। দলাইয়ের সফরের আগে দিল্লি দাবি করেছিল, দলাই ধর্মীয় নেতা। তিনি কোনও রাজনীতির কথা বলবেন না। কিন্তু বেজিংয়ের মতে, দলাই যে কেবল ধর্মীয় প্রচার করেন না সেটা তাওয়াংয়ে তাঁর বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট।

সুতরাং দলাইয়ের সফরের প্রভাব সীমান্ত বিবাদ নিয়ে আলোচনায় পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন লু কাং। তাঁর দাবি, ‘দক্ষিণ তিব্বতে’র মানুষ ভারতের ‘দখলদারি’তে মোটেই ভাল নেই। তাঁরা চিনের সঙ্গে যুক্ত হতে চান।

আরও পড়ুন:দর কষতেই সাজা, স্পষ্ট দিল্লির কাছে

চিনের এই প্রতিক্রিয়ার সরকারি ভাবে জবাব এখনও দেয়নি দিল্লি। তবে ঘরোয়া আলোচনায় বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক স্তরে চাপের মুখে পড়ে চিন এখন অন্য দিকে নজর ঘোরাতে সুর চ়ড়াচ্ছে। সেটা বুঝেই ভারত নিজে থেকে হইচই করে বিষয়টির গুরুত্ব আর বাড়াতে চায় না। সাউথ ব্লকের মতে, দু’টি কারণে চাপে পড়েছে চিন। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে মোদী সরকারের ঘনিষ্ঠতা কতটা হবে, তা এখনও বেজিংয়ের কাছে স্পষ্ট নয়। উত্তর কোরিয়া নিয়ে ট্রাম্প তাদের উপরে চাপ কতটা বাড়াবেন তা-ও জানে না চিন। আপাতত এখন দলাই নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়াই তাদের পক্ষে স্বাভাবিক বলে মনে করা হচ্ছে।

কিন্তু এই টানাপড়েনের জেরে গোটা উত্তর-পূর্বে চিন-বিরোধী মনোভাব প্রবল হয়েছে। অসমে এক চিনা প্রতিনিধিদলের প্রস্তাবিত সফর বাতিল করার দাবি জানিয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।ওই সংস্থার দাবি, আলফা নেতা পরেশ বরুয়ার পরামর্শে ওই চিনা প্রতিনিধিদল আসলে ব্রহ্মপুত্র খনন ও প্রস্তাবিত ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস সড়ক সম্পর্কে খোঁজ নিতে আসছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dalai Lama border dispute Arunachal Pradesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE