মুকুল রায়।— ফাইল চিত্র।
হঠাৎই নিরামিষে মুকুল!
পঞ্চ ব্যঞ্জন সহযোগে লোক খাওয়াতে বরাবরই ভালবাসেন মুকুল রায়। মাছ-মাংস মিলিয়ে নিদেনপক্ষে দু’টি আমিষ পদ তো বাঁধা থাকত অতিথিদের জন্য। রীতিমতো ফরমায়েশ দিয়ে মাছ আনিয়ে কিংবা নির্দিষ্ট দোকান থেকে আমিষ খাবার এনে লোক খাওয়ানো বরাবরই পছন্দ ছিল কাঁচরাপাড়ার ওই নেতার। কিন্তু সেই মুকুল রায় এখন হঠাৎ আমিষ ছেড়ে নিরামিষে। অন্তত প্রকাশ্যে। বিজেপিতে যোগদানের পর থেকে আজ পর্যন্ত তাঁর দিল্লির বাড়িতে দেওয়া দু’-দু’টি মধ্যাহ্নভোজে ব্রাত্য রইল আমিষ খানা। পরিবর্তে টেবিল জুড়ে বাহার ছড়ালো একাধিক নিরামিষ পদ।
ফলে স্বভাবতই জল্পনা ছড়িয়েছে যে গোটাটাই কি কাকতালীয়? নাকি গেরুয়া শিবিরে যোগদানের পর থেকে অন্তত প্রকাশ্যে সাত্ত্বিক হয়েছেন মুকুল! বিশেষ করে যখন আমিষ খাওয়া নিয়ে আপত্তি রয়েছে গেরুয়া শিবিরের একাংশের। অবশ্য পরিবর্তনের এই ছবি গোটা বাড়ির চৌহদ্দিতেই। দিল্লিতে মুকুলের একেবারে পাশেই বাড়ি তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েনের। তাই হয়তো বিজেপিতে যোগদানের পরেই বাড়ির সীমানা ঢেকে দেওয়া হয়েছিল দলীয় পতাকা ও নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের কাট আউটে।
আজ ভোজের আসরে অতিথিদের জন্য আনা চেয়ারের কভার আনা হয়েছিল একেবারে বেছে বেছে। দলীয় প্রতীক গেরুয়া রঙকে মাথায় রেখেই। বাড়ির অঙ্গসজ্জার মতোই খাদ্যাভাসের এই পরিবর্তন পরিকল্পিত কিনা তা নিয়ে মুকুল শিবির নিশ্চুপ। তবে গুজরাত জয়ের পরে দেওয়া এই ভোজে মেনু অবশ্য পুরোপুরি বাঙালি। ছিল ভাত, মুগের ডাল, পোলাও, পনির, আলু-ফুলকপি ও ধোঁকার ডালনা। শেষ পাতে চাটনি, পাঁপড়ের সঙ্গে লাড্ডু ও মিষ্টি দই। বিজেপি নেতাদের মধ্যে মধ্যাহ্নভোজে এসেছিলেন স্বপন দাশগুপ্ত, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুজরাত জয়কে বিজেপির ‘নৈতিক পরাজয়’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। আজ জবাবে মুকুল বলেন, ‘‘এই জয় দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়ে গিয়েছেন। কারণ এরপর পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তনের পালা।’’ গতকাল মমতা বলেছিলেন ২০১৯ সালের ভোটের আগে ‘বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধার’ কাজ গুজরাতের মানুষ করে দেখিয়েছেন। আজ পাল্টা কটাক্ষে মুকুলবাবু বলেন, ‘‘আগামী লোকসভাতেও বিজেপি ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে। সম্ভবত এই বার্তাই দিতে চেয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy