চিন্তিত: সাংবাদিক বৈঠকে লালুপ্রসাদ। পটনায়। ছবি: পিটিআই।
বন্যায় কি ডুববে লালুপ্রসাদের বিরোধী সম্মেলনও— উত্তর খুঁজতে তোলপাড় বিহার। জল্পনায় জুড়েছে সমাবেশে নেতা-নেত্রীদের হাজিরার হিসেবও। অখিলেশ সিংহ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চিত ভাবে থাকছেন লালুর মঞ্চে। মায়াবতী আগেই জানিয়েছেন, ২৭ অগস্ট তিনি আসবেন না পটনায়। পাঠাবেন বহুজন সমাজ পার্টির সতীশ মিশ্রকে। দোটানায় বামপন্থীদের অনেকে। এরই মধ্যে খবর রটেছে, নিজেরা না এসে রবিবারের সভায় গুলাম নবি আজাদকে পাঠাতে পারেন সনিয়া গাঁধী, রাহুল। লালু অবশ্য দাবি করেছেন, সমাবেশে থাকবেন রাহুল। আসবেন শরদ যাদবও।
আরজেডির এক প্রথম সারির নেতার কথায়, ‘‘কে কে আসছেন তা এখনই বলা সম্ভব নয়। বিহারে বন্যা পরিস্থিতি খুব খারাপ। প্রায় সাড়ে ৩০০ লোকের মৃত্যু হয়েছে। ৯০ লক্ষ দুর্গত। সমাবেশে মানুষ আসবেন কী করে সেটাও ভাবতে হবে!’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অশোক চৌধুরীর বক্তব্য, ‘‘নয়াদিল্লি থেকে কে কে সভায় আসবেন তার নির্দিষ্ট খবর মেলেনি। তবে বিরোধী ঐক্য অটুট রাখতে কংগ্রেস বদ্ধপরিকর।’’
ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমেছে বিজেপি। বন্যা পরিস্থিতির প্রসঙ্গ তুলে আরজেডিকে বিরোধী সমাবেশের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার ‘অনুরোধ’ জানানো হয়েছে। বুধবার বিজেপির তরফে বলা হয়— বন্যাকবলিত এলাকার বাসিন্দাদের দিকে সাহায্যের হাত এগিয়ে দেওয়ার বদলে সমাবেশের জন্য লোকবল খরচ করছে আরজেডি। এটা তাদের সংবেদনশীলতার অভাবের প্রমাণ।
পাল্টা তোপ দেগেছেন লালপ্রসাদ। তিনি বলেছেন, ‘‘বন্যার সঙ্গে সমাবেশের সম্পর্ক কোথায়!’’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমার সমাবেশ বানচালের ছক কষেই ২৬ অগস্ট বন্যা দেখতে বিহারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy