Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
National News

ভোট-বাজেট: গ্রাম, কৃষিতে দেদার বরাদ্দ

কৃষিজ পণ্যের বাজার তৈরির জন্য ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৩:০৬
Share: Save:

এ বছর একের পর এক রাজ্যে বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে কৃষি আর গ্রামোন্নয়নকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হল কেন্দ্রীয় বাজেটে।

বাজেট প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘‘কৃষি উৎপাদন ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছেছে। কিন্তু আমাদের দেশের ৮৬ শতাংশ কৃষকই হলেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক। এ বার তাঁদের উন্নয়নেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’’

জেটলির কথার প্রমাণ মিলেছে বাজেট প্রস্তাবের ছত্রে ছত্রে। কৃষিজ পণ্যের বাজার তৈরির জন্য ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে কেন্দ্রীয় বাজেটে কৃষিজ পণ্যে বাজার তৈরির জন্য এই বিশাল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি। শুধু তাই নয়, ‘অপারেশন গ্রিন’ খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতেও দ্বিগুণ করা হয়েছে অর্থ বরাদ্দ। গত অর্থবর্ষে ওই খাতে ৭১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এ বার বরাদ্দ করা হয়েছে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর কৃষি ঋণ খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ১১ লক্ষ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘কৃষকদের আয় বাড়ানোর উপর এ বার জোর দেওয়া হয়েছে।’’

বাজেট প্রস্তাবে তার প্রমাণ মিলেছে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে। বলা হয়েছে, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়িয়ে দিলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না। তাই ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে অন্তত উৎপাদন মূল্যের দেড় গুণ করার প্রস্তাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বলেছেন, ‘‘সেই ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের টাকা যাতে কৃষকদের হাতে পৌঁছয়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।’’

সামনে রাজ্যে রাজ্যে বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে যে গ্রামোন্নয়নে বিশেষ নজর দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার, তারও প্রমাণ মিলেছে বাজেট প্রস্তাবে। নজরকাড়া গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বাঁশ উৎপাদন, বাঁশনির্ভর শিল্পের উন্নয়ন, মৎস্যচাষ ও পশুপালনে।

আরও পড়ুন- মধ্যবিত্তের মন জয়ে সস্তা হচ্ছে বাড়ি​

আরও পড়ুন- আমি এত মোটা! নিজের ছবি দেখে প্রশ্ন তুললেন মমতা​

বাঁশ উৎপাদন ও বাঁশনির্ভর শিল্পের উন্নতির লক্ষ্যে বরাদ্দ করা হয়েছে ১ হাজার ২৯০ কোটি টাকা। আর মৎস্যচাষ ও পশুপালন খাতে বরাদ্দ হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা।

শুধু অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানোই নয়, গ্রামাঞ্চলে যে লক্ষ লক্ষ গরীব মানুষ মৎস্যচাষ ও পশুপালনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, তাঁরা যাতে সহজে ঋণ পান, তার জন্য তাঁদের ‘কিষাণ কার্ড’ দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছেন জেটলি। কোনও কর দিতে হবে না সমবায় সমিতিগুলিকে। তাদের কর মকুব করা হয়েছে ১০০ শতাংশ।

গ্রামের গরিব ও মধ্যবিত্তদের জীবনকে আরও সহজ করে তোলার লক্ষ্যে শুধু গ্রামাঞ্চলেই এক কোটি নতুন বাড়ি বানানোর প্রস্তাব দিয়েছেন জেটলি। গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৪.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা

এ ছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বল যোজনায় গ্রামাঞ্চল সহ দেশে ৮ কোটি নতুন এলপিজি সংযোগ দেওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেট প্রস্তাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE