আগুস্তাওয়েস্টল্যান্ড ইস্যুতে উত্তাল সংসদ। ভিভিআইপি হেলিকপ্টার সরবরাহের বরাত দিয়ে সনিয়া গাঁধী, মনমোহন সিংহ-সহ শীর্ষ কংগ্রেস নেতারা ঘুষ খেয়েছিলেন বলে অভিযোগ বিজেপির। খোদ কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী সরব হয়েছেন বিজেপির আক্রমণের মোকাবিলায়। তাঁর প্রশ্ন, ঘুষ খাওয়ার অভিযোগ তো ইউপিএ আমলেই উঠেছিল। এত দিন কী করছিল মোদীর সরকার? আরও এক ধাপ এগিয়ে আহমেদ পটেল বললেন, ঘুষ নেওয়ার ক্ষুদ্রতম প্রমাণও যদি সরকার দেখাতে পারে, তা হলে ফাঁসি নিতে প্রস্তুত।
দেশের শীর্ষ রাজনীতিকদের ব্যবহারের জন্য ১২টি ভিভিআইপি হেলিকপ্টার কেনার কথা হয়েছিল ইউপিএ-২ আমলে। ইতালির সংস্থা আগুস্তাওয়েস্টল্যান্ড-এর কাছ থেকে এই হেলিকপ্টারগুলি কেনার কথা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, ভারতকে হেলিকপ্টার সরবরাহের বরাত পেতে ইতালির সংস্থাটি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে ঘুষ দিয়েছে। ইতালির প্রশাসন আগুস্তাওয়েস্টল্যান্ডের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। ঘুষের লেনদেনের অভিযোগ ওঠায় ইউপিএ সরকারও হেলিকপ্টার কেনার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেয়।
আরও পড়ুন:
গরহাজির মিঠুনকে নিয়ে তপ্ত রাজ্যসভা
সেই ইস্যুতে আবার নতুন করে উত্তাল হয়েছে সংসদ। বিজেপি বিষয়টি নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি জানায়। আজ, বুধবার সংসদের আলোচ্যসূচিতে সবচেয়ে উপরে রয়েছে এই আগুস্তাওয়েস্টল্যান্ড ইস্যুই। অরুণ জেটলি-সহ বিজেপি নেতারা সনিয়া-মনমোহন এবং আহমেদ পটেলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। সনিয়া এর জবাবে বলেছেন, ‘‘আমি কোনও অনৈতিক কাজ করিনি। গত দু’বছর ধরে সরকার কী করছিল।’’ সনিয়া আরও বলেন, তিনি চান, দ্রুত ও নিরপেক্ষ ভাবে এই তদন্ত শেষ হোক এবং অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা হোক। সনিয়ার রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেল আরও আত্মবিশ্বাসী। বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, ‘‘ঘুষ নেওয়ার ক্ষুদ্রতম প্রমাণও যদি সরকার দেখাতে পারে, তা হলে আমাকে ফাঁসি দিক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy