আজ দিল্লিতে দলের সদর দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন অমিত শাহ। ছবি: পিটিআই।
প্রশ্ন শুনেই মুচকি হেসে ফেললেন অমিত শাহ।
কর্নাটকে নিশ্চিত জয়ের দাবি করেও জাদু সংখ্যা আনতে পারেননি। সংখ্যা নেই, তবু সরকার গড়তে গিয়ে মুখ পুড়িয়েছেন। তাই নিয়ে দলের মধ্যেই অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। এ সবের মোকাবিলা করতে আজ দিল্লিতে দলের সদর দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন অমিত শাহ। বোঝালেন, বিজেপি বৃহত্তম দল হিসেবে সরকার গড়তে চেয়ে ঠিকই করেছে। বরং কংগ্রেস ও জেডি(এস)-ই ‘অসাধু’ জোট গড়েছে। আর সেই সঙ্গেই ইঙ্গিত দিলেন, এক বার কংগ্রেস-জেডিএস বিধায়কেরা হোটেল থেকে ছাড়া পেলে ফের ‘সম্ভাবনা’ খতিয়ে দেখবেন।
সেখানেই প্রশ্ন এল, ‘‘সবাই বলছে অমিত শাহ সরকার করে নেবেন, কিন্তু হল না কেন?’’ প্রশ্ন শুনেই মুচকি হাসি অমিত শাহের মুখে। কিন্তু সুকৌশলে এড়িয়ে বললেন, ‘‘আমি তো দিল্লিতে ছিলাম।…. রাহুল গাঁধীকে প্রশ্ন করুন, বিধায়কদের হোটেলে কেন বন্দি করে রেখেছেন? এক বার তাঁরা ছাড়া পেলেই জনতাই বলে দিত, বিজেপি-জেডিএস-কে জেতাতে। বিজেপিও সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে ফেলত। এক বার ছাড়া পেতে দিন। এরপর যে সম্ভাবনা হবে, খতিয়ে দেখব।’’ কত দিন স্থায়ী হবে কংগ্রেস-জেডিএস সরকার? অমিত শাহের জবাব, ‘‘কুমারস্বামী জ্যোতিষে বিশ্বাস করেন। তাঁকেই জিজ্ঞাসা করুন। আমিও জ্যোতিষ মানি। তবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গণতান্ত্রিক পথেই চলে। জোট অস্থির বলেই বিধায়কেরা হোটেলে বন্দি।’’
আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরু থেকেই দিল্লি দখলের ছক কষছেন রাহুল
অমিত শাহের ইঙ্গিত স্পষ্ট, কর্নাটকে আপাতত কংগ্রেস ও জেডিএসের সরকার যদি হয়েও যায়, তাহলেও ভবিষ্যতে ফের সেই জোট ভাঙার চেষ্টা করবে বিজেপি। কংগ্রেসের আনন্দ শর্মার কথায়, ‘‘বিজেপির হাত থেকে বাঁচাতেই তো বিধায়কদের হোটেলে রাখা হয়েছে। কংগ্রেস-জেডিএস বিধায়করা আমাদের কাছে থাকবেন না বিজেপির সঙ্গে? নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ খুব মোটা চামড়ার। আমাদের দুই বিধায়ককে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগানো হয়েছিল।’’ তাঁর দাবি, ‘‘ভোট প্রচারে ৬৫০০ কোটি টাকা খরচ করেছে বিজেপি। ভোটের পরে বিধায়ক কিনতে ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy