Advertisement
০২ মে ২০২৪

মিটছেই না বিবাদ, ডোকা লা নিয়ে সেনা কর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক সেনাপ্রধানের

প্রয়োজনে সিকিম সীমান্তে আরও সেনা নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গিয়েছে। গ্যাংটকের ১৭ নম্বর ডিভিশনের সব অফিসার, জওয়ানের ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

জেনারেল রাওয়াতের সিকিম যাওয়াকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। —ফাইল চিত্র।

জেনারেল রাওয়াতের সিকিম যাওয়াকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৭ ০৪:৪৭
Share: Save:

খারাপ আবহাওয়ার জেরে বৃহস্পতিবার ডোকা লা যাওয়া হল না সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের। সিকিম সীমান্তে চিনের সঙ্গে সম্পর্কে উত্তেজনা ছড়ানোয় সরেজমিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছেন রাওয়াত। কিন্তু হেলিকপ্টার উড়তে না পারায় পরিদর্শনে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে সুকনায় ৩৩ নম্বর কোরের সদর দফতরে সেনা কর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন তিনি। সবিস্তার খোঁজ নেন ভারত ও চিনের সেনাদের অবস্থান সম্পর্কে। আজ, শুক্রবার আবহাওয়া ভাল থাকলে ডোকা লা যেতে পারেন সেনাপ্রধান।

বসে নেই চিনও। প্রথমত, ‘ভারত আড়াইটা ফ্রন্টে (চিন, পাকিস্তান এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা) যুদ্ধ করতে তৈরি’— বিপিন রাওয়াতের এই মন্তব্যকে ‘চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আখ্যা দিয়ে চিনা সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘ইতিহাস (১৯৬২-র ভারত-চিন যুদ্ধ) থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতের উচিত এই যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব বন্ধ করা।’’ পাশাপাশি, ডোকা লা এবং তার সন্নিহিত ডোকলাম এলাকা চিনের বলে দাবি করে সেখান থেকে ভারতীয় সেনা সরিয়ে নিতে বলেছেন সে দেশের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র। এ দিন এক সাংবাদিক বৈঠকে দু’টি ছবি দেখিয়ে চিনা মুখপাত্র দাবি করেন, ভারতীয় সেনা ও বুলডোজার আন্তর্জাতিক সীমান্ত লঙ্ঘন করে চিনের এলাকায় ঢুকে পড়েছে। ওই মুখপাত্র লু কাঙের কথায়, ‘‘আমরা ভারতকে অবিলম্বে সেনা প্রত্যাহার করে নিজেদের এলাকায় ফিরে যেতে অনুরোধ করেছি।’’ ভারত সেনা না সরানো পর্যন্ত ডোকা লা এবং ডোকালাম মালভূমি নিয়ে ফ্ল্যাগ মিটিং করতেও নারাজ চিন।

ভারত অবশ্য সেই দাবি মানতে নারাজ। উল্টে প্রয়োজনে সিকিম সীমান্তে আরও সেনা নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গিয়েছে। গ্যাংটকের ১৭ নম্বর ডিভিশনের সব অফিসার, জওয়ানের ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

এই বিবাদের মধ্যে ভুটান অবশ্য অবশেষে ভারতের পাশেই দাঁড়িয়েছে। দিল্লিতে ভুটানের রাষ্ট্রদূত ভেটসপ নামগিয়েল বলেন, ‘‘ডোকলাম অঞ্চলটি নিয়ে বিবাদ রয়েছে। তার চূড়ান্ত মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখা হবে বলে ভুটান ও চিনের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছিল। চিন সেই চুক্তির খেলাপ করে ওই এলাকায় রাস্তা নির্মাণ করছে।’’

ডোকলামে চিনের কার্যকলাপের প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের একটি ডিমার্শেও পাঠিয়েছে ভুটান। যদিও গোড়ায় তারা এ ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলতে রাজি হচ্ছিল না। তার পিছনে চিনা লবির চাপ ছিল বলেই ভারতীয় গোয়েন্দাদের ধারণা। এখন ভুটান মুখ খোলায় ভারত স্বস্তিতে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE