অনেক ধুমধাম করে তৃতীয় মোর্চা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত তা ভেঙেই গেল। সমাজবাদী পার্টির নেতা মুলায়ম সিংহ যাদব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেছেন, এই অভিযোগ তুলে মোর্চা ছাড়ল এনসিপি। দলের সাংসদ তারিক আনোয়ার আজ পটনায় মোর্চা ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তবে মোর্চার নেতারা তারিক আনোয়ারকে বোঝানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।
দিন কয়েক আগে উত্তরপ্রদেশ সীমানাবর্তী পশ্চিম বিহারে প্রচার সভা করেছিলেন মুলায়ম। সেখানেই তিনি নীতীশ কুমারের তীব্র সমালোচনা করেন। লখনউ ফিরে তিনি দাবি করেন, বিহারে এনডিএর ‘হাওয়া’ রয়েছে। মুলায়ম সে সময়ে বলেছিলেন, ‘‘যাঁরা ভাল কাজ করে, তাঁদের বলার দরকার হয় না।’’ সেই বক্তব্য নিয়ে তৃতীয় জোটে ঝড় ওঠে।
বিহারের তৃতীয় মোর্চায় সরকারি ভাবে ছ’টি দল রয়েছে। সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি ছাড়াও রয়েছে পাপ্পু যাদবের জন অধিকার পার্টি, সমাজবাদী জনতা পার্টি, সমরস সমাজবাদী পার্টি এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি। এনসিপি আর সমাজবাদী পার্টি ছাড়া পাপ্পু যাদবের দলেরই কিছু পকেটে অল্পবিস্তর প্রভাব রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এনসিপি জোট ছাড়ায় মোর্চার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। মহাজোটে মাত্র তিনটি আসন দেওয়ায় নীতীশ কুমার-লালুপ্রসাদ-কংগ্রেসের সঙ্গ ছেড়েছিল এনসিপি।
অন্য দিকে, জাতপাত নিয়ে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের উত্তরে খুশি নয় নির্বাচন কমিশন। আজ সন্ধ্যায় কমিশনের তরফে জানানো হয়, কারণ দর্শানোর নোটিসের যে জবাব লালুপ্রসাদ দিয়েছেন তা খারিজ করা হয়েছে। লালুকে ভাষণ দেওয়ার সময়ে ‘আরও সতর্ক’ হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে জাতপাত নিয়ে কথা বলার অভিযোগে গত মাসে বৈশালী জেলার গঙ্গাব্রিজ থানায় লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে জেলা প্রশাসন। রিপোর্ট পাঠানো হয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। তার প্রেক্ষিতেই লালুপ্রসাদকে কারণ দর্শানোর নোটিস ধরায় কমিশন। আজ সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের তরফে জেডিইউ সভাপতি শরদ যাদবকেও বিধিভঙ্গের অভিযোগে নোটিস পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, পটনা বিমানবন্দরে থাকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যানারও খুলে দিয়েছে কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy