উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী। শনিবার দিল্লিতে দলীয় কার্যালয়ে। ছবি: পিটিআই।
দু’মিনিট থামলেন আজানের জন্য।
দু’মিনিট থামতে হল ‘মোদী-মোদী’ ধ্বনির জন্য।
দু’মিনিট নীরবতা পালন করলেন হিংসার শিকার নিহত দলীয় কর্মীদের জন্য।
গত মাসে দিল্লিতে নতুন ভবনের উদ্বোধনে পরিস্থিতি এমনই হয়েছিল যে নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতাতেও হাততালির ঝড় ওঠেনি! ত্রিপুরায় বামদুর্গ গুঁড়িয়ে সেই নতুন ভবনেই আনন্দে মাতল গেরুয়া শিবির।
গুজরাতে কোনও রকমে জয়, একের পর এক উপনির্বাচনে হার, নীরব মোদী কাণ্ডের অস্বস্তি— চাপ বাড়ছিল বিজেপি কর্মীদের। নীরব মোদী নিয়ে এত দিন কার্যত সে ভাবে মুখ না খোলা নরেন্দ্র মোদী এ দিন জয়ের পরে ফের সেই পুরনো ৫৬ ইঞ্চির মেজাজে! ত্রিপুরার জয়কে সামনে রেখে কর্নাটক, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ের সঙ্গে বাংলা, কেরল, ওড়িশা জয়েরও হুঙ্কার দিলে। প্রথম সরাসরি যুদ্ধে বামেদের হারিয়ে বিঁধলেন বাম বুদ্ধিজীবীদের।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় দৌড়ে এগিয়ে বিপ্লবই
চুপ রইলেন না অমিত শাহও। শান দিলেন ক্ষয় ধরতে থাকা ‘ব্র্যান্ড-মোদী’তে। ফের শোনালেন ‘মোদীর ঝড়’, ‘মোদীর জয়’ শব্দগুচ্ছগুলি। প্রধানমন্ত্রীকে ‘ভাইসাহেব’ সম্বোধন করে বললেন, ‘‘২০১৯ সালে এর থেকে বেশি ভোটে জিতব।’’ লক্ষ্য স্পষ্ট। ত্রিপুরার জয়কে সামনে রেখে পরিস্থিতির মোড় ঘোরানো। বেকারি-মূল্যবৃদ্ধি-কৃষক অসন্তোষ-আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জেরবার কর্মীরা যাতে উদ্যম ফিরে পান। কৌশল নিয়ে কথা বলতে অমিত শাহ কালই যাবেন নাগপুরে, সঙ্ঘের সদর দফতরে।
মোদী-শাহ জানেন, সোমবার থেকে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে নীরব মোদী, কার্তি চিদম্বরম প্রশ্নে আক্রমণ শানাবেন জোটবদ্ধ বিরোধীরা। তা মোকাবিলার বার্তাও দিলেন মোদী।
আর বললেন, ‘‘শুনেছি, বাস্তুশাস্ত্র মতে ঘরের উত্তর-পূর্বে জোর দিলে গোটা ঘর ঠিক থাকে। আজ উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন যাত্রায় এগিয়ে আসার পরে গোটা দেশে তার প্রভাব পড়বে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy