আড়ি পাতার যন্ত্রকে ঘিরে বাড়ছে রহস্য।
নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি নিতিন গডকড়ীর ১৩ নম্বর তিনমূর্তি লেনের বাংলোয় শোবার ঘরে নাকি পাওয়া গিয়েছে আড়ি পাতার যন্ত্র! সম্প্রতি এমন খবর প্রকাশ পেতেই রাজধানীতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। খোদ মন্ত্রীর বাংলোয় এমন ঘটনা ঘটলে দেশের নিরাপত্তা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? কেন না, এর পিছনে বিদেশের চক্রান্তও তো থাকতে পারে! হইচই স্বাভাবিক। তবে যাঁকে নিয়ে বিতর্ক, সেই নিতিন গডকড়ী বলছেন, তাঁর বাড়িতে আড়ি পাতার ঘটনা ‘কাল্পনিক’। তবু বিতর্ক পিছু হটছে না। কেন না, বিরোধীদের দাবি, কাল্পনিক বললেও খবরের সত্যতা খণ্ডন করেননি গডকড়ী। বিজেপির আর এক নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী জানান, ইউপিএ জমানায় এই ঘটনা ঘটেছে। সরকার অন্ধকারে ছিল, তা হতেই পারে না। বিজেপির অন্য নেতা সিদ্ধার্থ নাথ সিংহ বলেন, “খোদ নিতিন গডকড়ী বা কেন্দ্রীয় সরকার এর জবাব দিতে পারবে।” বিজেপি শিবিরের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তদন্তে দেখা গিয়েছে, অতি-ক্ষমতা সম্পন্ন আড়ি পাতার যন্ত্র পাওয়া গিয়েছে গডকড়ীর ঘর থেকে, যা দেখে গোয়েন্দা সংস্থার ধারণা, এর পিছনে বিদেশের হাত থাকতে পারে।
মাস খানেক আগেই এডওয়ার্ড স্নোডেন ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এ জানিয়েছিলেন, বিজেপি নেতাদের উপর আড়ি পাতছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সে দিক থেকে গডকড়ীর মতো বিজেপি ও সঙ্ঘের প্রভাবশালী নেতার বাড়িতে আড়ি পাতার ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। যদিও বিজেপি নেতারা এ নিয়ে খুব বেশি হইচই করতে চাইছেন না। সেপ্টেম্বরে নরেন্দ্র মোদী মার্কিন সফরে যাচ্ছেন। তার আগে আন্তর্জাতিক মহলে এ নিয়ে খুব বেশি বিতর্ক চাইছে না মোদী সরকার।
কিন্তু বিরোধী দলগুলি ছেড়ে দিতে চাইছে না। সনিয়া গাঁধীর দেওয়া ইফতারে এসে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এ নিয়ে তদন্ত দাবি করেছেন। বিরোধীরা সংসদে বিষয়টি তুলে সরকারের থেকে সাফাই চাওয়ার কথা ভাবছে। কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেন, “ঘটনা সত্যি হলে জবাব দেওয়া উচিত সরকারের।” বাম নেতা ডি রাজা বলেন, “আমরা সংসদে এই বিষয়টি উত্থাপন করব।” ডিএমকের বক্তব্য, কী করে নিতিন গডকড়ীর শোবার ঘরে পৌঁছে গেল অত্যাধুনিক আড়ি পাতার যন্ত্র, এর পিছনে কারও ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, বিষয়টি তদন্ত করে সরকারের জানানো উচিত। বিরোধীদের বক্তব্য, যদি নিতিন গডকড়ীর ক্ষেত্রে আড়ি পাতা হয়, তা হলে আর কোনও নেতা এর আওতায় রয়েছেন কি না, তা-ও দেখা দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy