অপহৃত এক বালকের গুলিবিদ্ধ দেহ গত কাল সন্ধেয় উদ্ধার করা হয়েছিল। আজ বেকি নদীতে ভেসে উঠল নিখোঁজ আরও তিন ব্যবসায়ীর দেহ। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে বাক্সা-বরপেটায়। গ্রামবাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জখম হন কয়েক জন পুলিশকর্মী।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার বিকেলে। বগরিগুড়ির ছ’জন ব্যবসায়ী এবং এক বালক সামতাইবাড়ি বাজারে গিয়েছিল। তখনই সন্দেহভাজন এনডিএফবি (সংবিজিৎ) জঙ্গিরা তাঁদের সবাইকে অপহরণ করে। তিন জন কোনও রকমে পালাতে পারেন। তাঁরা গ্রামে ফিরে অপহরণের খবর দেন। তার পর পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং এসএসবি তল্লাশি শুরু করে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন। বদলি করে দেওয়া হয় বাক্সার এসপিকে। গোবর্ধন এবং আনন্দবাজার এলাকায় সান্ধ্য আইন জারি করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত রাতে সান্থাইবাড়ির কাছে বেকি নদীতে ওই বালকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আজ নদীতে আরও ৩টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এর পরে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে দেহগুলি ময়না তদন্তে পাঠাতে বাধা দেয়। তারা দাবি করে, মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈকে ঘটনাস্থলে আসতে হবে। পুলিশ লাঠি চালালে উত্তেজনা বাড়ে। গ্রামবাসীদের হামলায় কয়েক জন পুলিশকর্মী জখম হন। এসপি ও জেলাশাসক অতিরিক্ত বাহিনী নিয়ে এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। অপহরণকারীদের সন্ধানে মানস জাতীয় উদ্যানের আশপাশের জঙ্গলে সেনাবাহিনী তল্লাশি শুরু করেছে।
এ দিকে, উদালগুড়ির রৌতায় জঙ্গিদের গুলিতে জখম হন অজিত অগ্রবাল ও বিক্রম অগ্রবাল নামে দুই ব্যবসায়ী। অজিতবাবু হাসপাতালে মারা যান। অসম-মেঘালয় সীমানার ১২ মাইল এলাকায় জঙ্গিরা চার যুবককে অপহরণ করেছে। বাক্সায় অবড়ো সুরক্ষা সমিতির সদস্য কুলমণি তালুকদারের বাড়িতে হানা দেয় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা।
এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ তাঁর উজানি অসম সফর বাতিল করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু জানান, কেন্দ্রীয় সরকার অসমকে সব রকমের সাহায্য করতে রাজি। অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইলে দেওয়া হবে। তবে একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, অসম সরকার যদি প্রত্যেক বার বড়োভূমির অশান্ত পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হয়, তবে বাধ্য হয়ে কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy