নরেন্দ্র মোদী সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার পরে এ বারে এনডিএ-র সঙ্গেও পাকাপাকি বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে চলেছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। এর মধ্যেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম বার অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চাইছে চন্দ্রবাবুর প্রতিপক্ষ জগন্মোহন রেড্ডির দল, যার পিছনে মোদীর কৌশলই দেখছেন চন্দ্রবাবু।
তেলুগু দেশম সূত্রের মতে, কাল-পরশুর মধ্যেই চন্দ্রবাবু এনডিএ-র সঙ্গত্যাগের ঘোষণা করতে পারেন। আজ সকালে দিল্লিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই নিয়ে দলের সাংসদদের মত চান তিনি। বিচ্ছেদের পক্ষেই মত দিয়েছেন সাংসদেরা। কাল পলিটব্যুরোর জরুরি বৈঠক ডেকেছেন চন্দ্রবাবু। তবে জগনের দল যে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চাইছে, তার পিছনে মোদীর খেলাই দেখছে তেলুগু দেশম। তাদের মতে, কাল জগনের দলের এক সাংসদ গোপনে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। তার পরেই আজ সকাল থেকে অনাস্থা প্রস্তাবে বিরোধী দলের স্বাক্ষর জোগাড় করছেন ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সাংসদেরা। সংসদে তেলুগু দেশম যে অন্ধ্রের জন্য বিশেষ মর্যাদার দাবি তুলছে, তাকে ভেস্তে দেওয়াই তাদের আসল লক্ষ্য বলে মত চন্দ্রবাবুর। পাল্টা চালে তিনি জানিয়েছেন— কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা যে-ই আনুক, দরকারে তেলুগু দেশম তার পক্ষেই ভোট দেবে।
চন্দ্রবাবু আজ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেছেন, জগন ও পবন কল্যাণের মতো বিরোধীদের তাঁর বিরুদ্ধে কাজে লাগাচ্ছে দিল্লি। তামিলনাড়ুতেও ঠিক এই কাজটিই করেছেন মোদী। তেলুগু দেশম মনে করছে, এর পর আর বিজেপির সঙ্গে থাকা সম্ভব নয়। উত্তরপ্রদেশের ফলও দেখিয়ে দিয়েছে, হাওয়া ঘুরছে। অরুণ জেটলি যদি অন্ধ্রের জন্য কিছু ঘোষণা করেন, সে জন্য বাজেট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হচ্ছিল। কিন্তু কাল হট্টগোলের সুযোগে বাজেট পাশ করিয়ে নিয়েছে সরকার। ফলে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তই এক রকম নিয়ে ফেলেছেন চন্দ্রবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy