পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোচ্ছে মিছিল। রয়েছেন সনিয়া গাঁধী, মনমোহন সিংহ, সুস্মিতা দেব, রাহুল গাঁধী, শচীন পায়লট। ছবি: রয়টার্স।
পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল নিয়ে এগনোয় গ্রেফতার হলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। গণতন্ত্র বাঁচানোর দাবিতে সনিয়া-মনমোহনের নেতৃত্বে নয়াদিল্লির রাজপথে শুক্রবার পদযাত্রার ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস। সংসদ ভবন পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল মিছিলের। কিন্তু মাঝপথেই ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা আটকে দিয়েছিল পুলিশ। সনিয়ার নেতৃত্বে সেই ব্যারিকেড ভেঙে সংসদের দিকে এগোতে থাকে মিছিল। তখনই আটক করা হয় সনিয়া গাঁধী-সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে।
গ্রেফতার বরণ করার আগে এ দিন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন সনিয়া। অগাস্টাওয়েস্টল্যান্ড কেলেঙ্কারির অভিযোগে সংসদের চলতি অধিবেশন শুরু থেকেই উত্তাল। সনিয়া গাঁধী, আহমেদ পটেল-সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে রোজ সংসদে বিঁধছে বিজেপি। বিঁধছে তৃণমূলও। পাল্টা আক্রমণে কংগ্রেস এবং বিভিন্ন রাজ্যে তার সহযোগী দলগুলি। ক্ষমতা থাকলে সিবিআই তদন্ত করিয়ে সরকার প্রমাণ করুক, সনিয়া গাঁধী কেলেঙ্কারিতে জড়িত, বলছে কংগ্রেস। নরেন্দ্র মোদী দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে ধ্বংস করে দিতে চাইছেন বলেও কংগ্রেস অভিযোগ করছে। সেই অভিযোগ তুলে ধরেই শুক্রবার ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি মার্চ’-এর ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই মিছিলই ব্যারিকেড ভেঙে সংসদের দিকে এগোতে শুরু অবশেষে পার্লামেন্ট স্ট্রিটে সনিয়া গাঁধী মনমোহন সিংহ এবং আরও অনেককে গ্রেফতার করে মিছিল আটকানো হয়।
আরও পড়ুন:
অনশনে অসুস্থ কানহাইয়া হাসপাতালে
মোদী সরকার এবং আরএসএস-এর বিরুদ্ধে এ দিন তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন সনিয়া। তিনি বলেন, ‘‘যে নাগপুরের (আরএসএস সদর দফতর) অঙ্গুলিহেলনে মোদী সরকার নিয়ন্ত্রিত হয়, সেই নাগপুরকে বলছি, যা খুশি দোষারোপ করতে চান করুন, আমরা মাথা নত করব না।’’ সনিয়া বলেন, ‘‘লড়াই কী ভাবে করতে হয় তা আমি আমার জীবন থেকেই শিখেছি।’’ পার্লামেন্ট স্ট্রিটের থানায় সনিয়া গাঁধী, মনমোহন সিংহকে অবশ্য বেশিক্ষণ থাকতে হয়নি। অল্প সময় পরই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। গাড়িতে তাঁরা সংসদের দিকে রওনা হন।
বিজেপি বলেছে, কংগ্রেসের এই পদযাত্রা আসলে কেলেঙ্কারির দিক থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy