পি কে গুরুদাসন।
কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সংস্রব রাখা যাবে না বলে জেদ ধরেছেন প্রকাশ কারাট ও তাঁর অনুগামীরা। অথচ কেন্দ্রীয় কমিটিতে ভোটাভুটির স্বার্থে কংগ্রেসের পুরনো সংস্কৃতি আমদানি হল সিপিএমে! আইসিইউ থেকে এসে কারাট-মতের পক্ষে ভোট দিলেন তাঁর অনুগামী এক নেতা!
কেরলে সিটুর রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পি কে গুরুদাসন দলের এর্নাকুলাম জেলা সম্মেলন চলাকালীন সংজ্ঞা হারিয়ে লুটিয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে কোচির হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। অসুস্থ সেই গুরুদাসনকে কলকাতায় নিয়ে চলে এসেছিলেন কেরলের রাজ্য নেতৃত্ব! এ শহরে এনেও তাঁকে রাখতে হয়েছিল নার্সিং হোমের আইসিইউ-এ। কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের প্রথম দু’দিন তাঁকে আলিমুদ্দিনে আনাই যায়নি। কিন্তু রবিবার বদলে গেল পরিস্থিতি!
শনিবার রাতে পলিটব্যুরোর বৈঠকের পরেই নিশ্চিত হয়ে যায়, কারাট না সীতারাম ইয়েচুরি— কার খসড়া দলিল পার্টি কংগ্রেসে যাবে, সেই প্রশ্নে ভোটাভুটি হবেই। তখনই সক্রিয় হন কেরলের নেতারা। চিকিৎসকদের আপত্তি উড়িয়ে বন্ড সই করিয়ে আইসিইউ থেকে রবিবার সকালে বার করে আনা হয় গুরুদাসনকে। তাগিদ একটাই! ইয়েচুরির বিপক্ষে একটা ভোটও যেন নষ্ট না হয়! শেষমেশ ৫৫-৩১ ভোটে জয় হয়েছে কারাট শিবিরেরই।
আরও পড়ুন: দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হচ্ছেন ও পি রাওয়াত
কাশ্মীরের ইউসুফ তারিগামি, মহারাষ্ট্রের অশোক ধবলে, কেরলের টমাস আইজ্যাকেরা সাধারণ সম্পাদকের অনুমতি নিয়ে বৈঠক শেষ হওয়ার আগে নিজেদের রাজ্যে ফিরে গিয়েছেন। সেখানে কারাট শিবিরের এই কাণ্ড দেখে তাজ্জব ইয়েচুরি শিবির! দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্যের কথায়, ‘‘এই একটা দলিলের উপরে ভোটের জন্য এমন মরিয়া কেউ হতে পারে, ভাবতে পারিনি!’’ গুরুদাসনের মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখতে চেয়েছেন ইয়েচুরি। এই অবস্থায় তাঁকে কোচি থেকে কলকাতা সফর করার অনুমতি দিল কে, তিনি নাকি জানতে চান।
আস্তবল বন্ধ করার আগেই ঘোড়া অবশ্য পিঠটান দিয়েছে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy