প্রতীকী ছবি।
গুরুগ্রাম, দিল্লি, রাজস্থানের বাড়মেরের পর এ বার উত্তরপ্রদেশের দেবরিয়া। স্কুলের মধ্যেই আবার এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু।
গত কাল দেবরিয়ার মডার্ন সিটি মন্টেসরি স্কুলের চারতলার ছাদ থেকে প়ড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বছর পনেরোর এক ছাত্রীর। আত্মহত্যার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, তাকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নিতু চৌহান নামে ওই ছাত্রী চারতলায় শৌচাগারে গিয়েছিল। সেই সময়েই একেবারে নীচে পড়ে যায় সে। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে গোরক্ষপুরের বাবা রাঘব দাস মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয় নিতুকে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর।
ঘটনার পরে নিতুর অভিভাবকেরা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ছাত্রীর বাবার দাবি, হাসপাতালে যাওয়ার পথে মৃতপ্রায় নিতু তার ভাইকে বলেছিল, পিছন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল তাকে। বাবার অভিযোগ, ঘটনাটি সকাল ১১টা নাগাদ ঘটলেও তিনি তা জেনেছেন দুপুর ৩টে নাগাদ। স্কুল কর্তৃপক্ষ নয়, নিতুর সহপাঠীরা তাঁরা খবর দিয়েছে। পুলিশ জানায়, স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দিন দশেক আগেই খুন হয়েছিল গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুর। তার পরে স্কুলের নিরাপত্তা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল বিস্তর। যদিও প্রদ্যুম্নের ঘটনার এক দিনের মধ্যেই দিল্লির একটি স্কুলে পাঁচ বছরের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে স্কুলের পিওনের বিরুদ্ধে। তার পরে রাজস্থানের বাড়মেরের স্কুলে দুই সাফাইকর্মীর হাতে বছর ছয়েকের এক ছাত্রী ধর্ষিতা হয় বলে অভিযোগ। দেবরিয়ার ঘটনা বুঝিয়ে দিল, শোরগোল অনেক হলেও পরিস্থিতির চোখে পড়ার মতো কোনও উন্নতি নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy